হোম পিছনে ফিরে যান

জামালপুরে যমুনার পানি বিপদসীমার উপরে

jaijaidinbd.com 2024/10/5
ছবি-যায়যায়দিন

টানা বর্ষন আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জামালপুরের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলার যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, জিঞ্জিরামসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার কারণে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত ১০ হাজার মানুষ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চিকাজানী, চুকাইবাড়ী, বাহাদুরাবাদ, ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী, নোয়ারপাড়া, কুলকান্দি, পাথর্শী, সাপধরী, বেলগাছা, মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া, আদ্রা, মাহমুদপুর, নাংলা, কুলিয়া এবং মাদারগঞ্জ উপজেলার চর পাকেরদহ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব ইউনিয়নের অন্তত দশ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি। নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও এলাকায় যাতায়াতের জন্য স্থানীয় রাস্তাগুলোতে পানি উঠে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ। বন্যার পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে মানুষের দুর্ভোগও বাড়তে শুরু করেছে। বন্যার কারণে মানুষের বাড়ি ঘরে পানি উঠতে শুরু করেছে।

অনেকের বাড়িঘরে পানি উঠে যাওয়ায় তারা পরিবারের সদস্য ও গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন। এদিকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কাঠারবিল এলাকায় দেওয়ানগঞ্জ-সানন্দবাড়ি আঞ্চলিক সড়কের ৩০ মিটার অংশ বন্যার পানির ¯স্রোতে ভেঙে গেছে।

এতে করে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে উপজেলার পাররামরামপুর, চর আমখাওয়া, ডাংধরা ইউনিয়ন এবং পার্শবর্তী কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারি ও রাজিবপুর উপজেলার সড়ক যোগাযোগ।

এছাড়াও একই উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ি সড়কে একটি সেতুর সংযোগ সড়ক ভেসে যাওয়ায় খোলাবাড়ি ও গাইবান্ধা জেলার সাথে যোগাযোগ ব্যাবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৭৫ সেন্টিমিটার বেড়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিপৎসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে, এবারে মাঝারি আকারের বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর ও মাদারগঞ্জ উপজেলার মোট ১১টি ইউনিয়নের মি¤œাঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

বন্যার্তদের জন্য দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ি ইউনিয়নের প্রায় একশ পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। বন্যার্তদের সহায়তায় জেলার ৭ উপজেলায় ৩শ মেট্টিক টন চাল ও ৩ হাজার ৪শ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

যাযাদি/ এম

People are also reading