হোম পিছনে ফিরে যান

বাড়তে পারে বৃষ্টি, বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা

banglatribune.com 3 দিন আগে

প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। দুয়েক দিন ধরে বৃষ্টির প্রবণতা একটু কম, তবে আসছে সপ্তাহে তা আবার বাড়তে পারে। আজ শুক্রবার এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন নদনদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটারও শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অফিস জানায়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, আজ শুক্রবার (৫ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এসময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায়ও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। রংপুর বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

এসময় সারা দেশে দিনের তাপামাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

রবিবার (৭ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায়; রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, এ সময়ের শেষের দিকে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।

বন্যার পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র শুক্রবার জানায়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মার সঙ্গে সংযুক্ত নদ-নদীগুলোর পানি সমতল বাড়ছে যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুশিয়ারা ছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল সার্বিকভাবে হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, দেশের উত্তরাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতিভারী এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলার ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যার পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে।

আগামী ২৪ ঘন্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।

আগামী ৪৮ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে পানি সতর্কসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

আগামী ২৪ ঘন্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও ঘাঘট নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। এর ফলে তিস্তা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল কতিপয় পয়েন্টে স্বল্পমেয়াদে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে এবং ধরলা ও ঘাঘট নদী সংলগ্ন কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চল বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা অবনতি হতে পারে।

আগামী ৪৮ ঘন্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের যমুনাশ্বরী, করতোয়া, বাঙ্গালী, আপার করতোয়া, পুর্নভবা, টাঙ্গন, ইছামতি-যমুনা, আত্রাই, মহানন্দা এবং ছোট যমুনা নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।

আগামী ১০ দিনের সম্ভাব্য পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি সমতল আগামী ৫ দিন স্থিতিশীলভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে এবং বিপদসীমার ওপরে অবস্থান করতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল আগামী ৭ দিন স্থিতিশীল ভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে আগামী ১০ দিনের মধ্যে গঙ্গা-পদ্মা অববাহিকায় পানি সমতল বিপদসীমা অতিক্রমের শঙ্কা নেই।

ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর পানি সমতল আগামী ৫ দিন স্থিতিশীল ভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর অববাহিকায় বিপদসীমা অতিক্রমের শঙ্কা নেই।

People are also reading