হোম পিছনে ফিরে যান

স্বামী শারীরিক অক্ষমতার জানার পর তালাক, অতঃপর…

thebengalitimes.com 2024/10/5
স্বামী শারীরিক অক্ষমতার জানার পর তালাক, অতঃপর...
প্রতীকী ছবি

নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় সাবেক স্বামীর অ্যাসিডে হাফসা আক্তার (৩২) নামের এক নারী শরীর ঝলসে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাত ৯টার দিকে ব্রাহ্মণজাত গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

হাফসা আক্তার উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের ব্রাহ্মণজাত গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের মেয়ে।

জানা যায়, ২০০৭ সালে উপজেলার মাসকা গ্রামের হুমায়ূন কবীরের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় হাফসা আক্তারের। বিয়ের কিছুদিন পর হাফসা তার স্বামী শারীরিক অক্ষমতার বিষয়টি জানতে পারেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় কলহ। প্রায় সময়ই হাফসাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন হুমায়ূন। স্বামীকে চিকিৎসা করার তাগাদা দিলেই হাফসার উপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যেতো। এ থেকে পরিত্রাণ গত ঈদুল আজহার পরদিন বাবার বাড়িতে চলে আসেন হাফসা এবং স্বামীকে তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) স্থানীয় কাজীর মাধ্যমে হাফসা তার স্বামী হুমায়ূনকে তালাক দেন। তালাকের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি হুমায়ুন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হুমায়ুন শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে খাবার খাওয়ার সময় হাফসাকে ঘরের বেড়ার ফাঁক দিয়ে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে। পরে হাফসাকে হত্যার হুমকি দিয়ে হুমায়ুন চলে যায়। পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

দগ্ধ হাফসা আক্তার বলেন, আমার প্রাক্তন স্বামী বেশ কিছুদিন যাবত আমার শরীরে অ্যাসিড দিয়ে ঝলসে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। আমি তাকে তালাক দেওয়ার পর সে তাই করেছে। আমি এর ন্যায় বিচার চাই।

স্থানীয় উপজেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কল্যাণী হাসান বলেন, এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ওই নরপশু হুমায়ুনকে গ্রেপ্তারের দাবি করেন। সেই সাথে তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিও জানান তিনি।

কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. এ এস এম শরীফুজ্জামান বলেন, হাফসা নামের এক নারী শুক্রবার রাতে শরীরের বিভিন্ন অংশ দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আসে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

People are also reading