হোম পিছনে ফিরে যান

শিশুর ভাষা বিকাশে বাধাগ্রস্ত মায়ের স্মার্টফোন

desh.tv 2024/10/5

বর্তমান বিশ্বে দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম প্রয়োজনীয় বস্তু হচ্ছে স্মার্টফোন। পড়াশোনা থেকে শুরু করে প্রাত্যহিক সব কাজেই এর ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই ফেসবুকে ঢুঁ না মারলে আমাদের দিন শুরু হয় না। স্মার্টফোনের প্রতি এমন আসক্তি কমবেশি সবার মধ্যেই দেখা যায়। সম্প্রতি স্মার্টফোন বা ডিজিটাল আসক্তি নিয়ে নতুন তথ্য উঠে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অস্টিনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মা স্মার্টফোনে আসক্ত, তাদের শিশুসন্তানের ভাষা ঠিকমতো বিকশিত হয় না। ফলে তাদের মধ্যে কম কথা বলার প্রবণতা দেখা দিতে পারে। তাই গবেষকেরা নতুন মা হওয়া নারীদের ফোন ব্যবহারে লাগাম টানার পরামর্শ দিয়েছেন। সম্প্রতি চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট জার্নালে নতুন এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ছোট শিশুসন্তান থাকা অনেক নারী প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ফোন ব্যবহার করেন। কিছুক্ষণ পরপর ফোন ব্যবহারের কারণে সন্তানদের সঙ্গে ২৬ শতাংশ কথা কম বলেন তারা। এর ফলে সন্তানের ভাষার বিকাশে বাধাগ্রস্ত হয়। স্মার্টফোন আসক্ত মা এবং তাদের শিশুসন্তানদের আচরণ বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

গবেষণায় অংশ নেওয়া শিশুদের বয়স ছিল গড়ে চার মাস। এই গবেষণার জন্য ১৬ জন মা এবং তাদের শিশুসন্তানের এক সপ্তাহের আচরণের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সেসব তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, স্মার্টফোন আসক্ত মা সন্তানের সঙ্গে ১৬ শতাংশ কম কথা বলেন। আর যেসব মা কয়েক মিনিট পরপর ফোন ব্যবহার করেন, তারা ২৬ শতাংশ কম কথা বলেন।

গবেষণার সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানী কেয়া দে বারবারো বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, ফোন ব্যবহারের কারণে মায়ের কথাবার্তায় প্রভাব তৈরি হয়। যারা দীর্ঘসময় ফোন ব্যবহার করেন, তাদের মধ্যে এ প্রভাব সবচেয়ে বেশি। মায়েরা যখন ১ থেকে ৩ মিনিটের জন্য ফোন ব্যবহার করেন, তখন তারা সন্তানের সঙ্গে কম কথা বলেন। সকাল ৯ থেকে ১০টা, দুপুর ১২ থেকে বেলা ১টা এবং বিকেল ৩ থেকে ৪টার সময় ফোন ব্যবহার সন্তানদের ওপর বেশি প্রভাব ফেলে।

শিশুর ভাষা ও যোগাযোগের দক্ষতা উন্নয়নে মায়ের ভূমিকা তুলে ধরে বিজ্ঞানী কেয়া দে বারবারো জানান, মা-বাবার ফোনের আসক্তি শিশুর ওপর দীর্ঘ মেয়াদে প্রভাব ফেলছে। আর তাই নতুন অভিভাবকদের প্রতি আমাদের পরামর্শ হলো যতটা সম্ভব শিশুর সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। ফোনের প্রভাব ও সন্তানের ভাষাশিক্ষার প্রভাব সম্পর্কেও সচেতন থাকতে হবে।

এস

People are also reading