ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে খুন না করে থামতে চাইছে না ইসরায়েল
এসব কারণেই ওয়াশিংটনের হিসাব হলো, সিনওয়ারকে হত্যা করা গেলে তেল আবিবকে দিয়ে একটা বিজয় উৎসব করানো যায় এবং যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগও তখন নেতানিয়াহু হয়তো মেনে নেবেন। সিআইএর জন্য তাই সিনওয়ারকে খুঁজে দেওয়া বিরাট এক সামরিক কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত ১১ মে ওয়াশিংটন পোস্ট স্পষ্ট করে লিখেছে, হামাস নেতাদের অবস্থান সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে ইসরায়েলকে সাহায্য করছে।
প্রশ্ন হলো, সিনওয়ারকে হত্যা করা হলে তাঁর বাহিনী কি কোনো ধরনের যুদ্ধবিরতি আর মেনে নেবে? আবার এ–ও সত্য, তখন তাদের প্রতিরোধের তীব্রতা সাময়িকভাবে হলেও কমে আসতে পারে। কিন্তু নিশ্চিতভাবে অন্য কোনো সিনওয়ার এসে আবার মাতৃভূমি উদ্ধারের সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে কাজে নেমে পড়বে। ফিলিস্তিনিদের অতীত ইতিহাস সে রকমই।
২০০৪ সালে ইয়াসির আরাফাতকে বিষ প্রয়োগে হত্যার পর মনে হয়েছিল, এই জনগোষ্ঠী আর দখলদারত্বের বিরুদ্ধে শক্ত হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু গাজা যুদ্ধ সেটাকে মিথ্যা প্রমাণ করেছে।
ইয়াহিয়া সিনওয়ারও নিশ্চিতভাবে শেষ ফিলিস্তিনি বীর নন। এমনকি নিহত হলেও তিনি ভবিষ্যতের সিনওয়ারদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন।