হোম পিছনে ফিরে যান

ইডেনের সেই নেত্রীর বিরুদ্ধে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফুয়াদের মামলা খারিজ

banglatribune.com 3 দিন আগে

ইডেন কলেজের সাবেক এক ছাত্রলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মানহানির অভিযোগে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফুয়াদ হোসেন শাহাদাতের করা মামলার আবেদন খারিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২ জুলাই) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালতে ফুয়াদ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি নেওয়ার পর আবেদনটি খারিজের আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আজকে ইডেন কলেজের সাবেক এক ছাত্রলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে ফুয়াদ হোসেন একটি মামলা দায়েরের আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে নথি পর্যালোচনা করে খারিজের আদেশ দেন। মামলায় ওই নারীর বিরুদ্ধে বাদীর মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছে।

এর আগে, ১ জুলাই ধর্ষণ মামলায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফুয়াদ হোসেন শাহাদাতকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট।

গত ২৭ জুন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ফুয়াদ হোসেন শাহাদাতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন একই সংগঠনের সাবেক এক নেত্রী। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে হাজারীবাগ থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভিকটিম ২০১৩-১৪ সেশনে ইডেন মহিলা কলেজে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে ভর্তি হন। ২০১৪ সালে টিএসসিতে ফুয়াদ হোসেনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে ফোনে কথাবার্তা হয়। তারা বিভিন্ন জায়গায় এক সঙ্গে ঘোরাফেরা করেন। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট তারা কক্সবাজার ঘুরতে যান। সেখানে গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে কাজীর মাধ্যমে বিয়ে রেজিস্ট্রি করার প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আসামি নিয়মিত ধর্ষণ করেছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালে ভিকটিম প্রেগন্যান্ট হয়ে পড়লে আসামিকে ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে জানালে আসামি বাচ্চা নষ্ট করার কথা বলে। ভিকটিম এতে রাজি না হলে ওই বছরের ২৩ নভেম্বর রাতে ভিকটিমের বাচ্চা নষ্ট হওয়ার ওষুধ মিশিয়ে জুস খেতে দেয় আসামি। জুস খাওয়ার পরে ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়লে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়। পরে আসামি ভিকটিমকে বিয়ে রেজিস্ট্রির প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ঢাকার বিভিন্ন স্থানে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে।

২০২২ সালের মার্চ মাসে ভিকটিম বিয়ে রেজিস্ট্রি করার জন্য আসামিকে চাপ দিলে আসামি জানায়, সে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হয়েছে, সম্মেলন শেষ হলে বিয়ে রেজিস্ট্রি করবে। ২০২২ সালে আসামি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ পায়। আসামির এই ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য ভিকটিম আসামির কাছের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানায় যে, আসামি অন্য একজনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি আগের মতো ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এসময় আসামিকে বিয়ে রেজিস্ট্রি করার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে ভিকটিমকে মারধর করে জীবননাশের হুমকি দিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে চলে যায়।

People are also reading