হোম পিছনে ফিরে যান

Falakata | ফালাকাটা শহরে ৪টি সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র

uttarbangasambad.com 2024/10/6

ভাস্কর শর্মা, ফালাকাটা: ফালাকাটা (Falakata) পুর এলাকায় চালু হবে ৪টি সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র (Health centre)। সেজন্য প্রায় ২ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে। পুরসভার ২, ৫, ১৩ এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে এই চারটি সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে উঠছে। ইতিমধ্যেই ১৩ এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রের যাবতীয় কাজ হয়ে গিয়েছে। বাকি দুটির কাজও শেষ হওয়ার পথে।

পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ মুহুরি বলেন, ‘পুরসভার ৪টি ওয়ার্ডে ৪টি সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। এর জন্য বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছিল প্রায় ২ কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি চালু করার জন্য আমরা যাবতীয় কাজ শুরু করে দিয়েছি।’

পুরসভা সূত্রে খবর, বর্তমানে এই চারটি ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভাড়াবাড়িতে চলছে। সেখানে অবশ্য সব ধরনের পরিষেবা মিলছে না। তবে নতুন যে সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি বানানো হয়েছে তা একেবারেই আধুনিক মডেলের। দোতলা সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে থাকছে বেডের ব্যবস্থা, থাকছে ল্যাবরেটরি। সেখানে নিয়মিত বসবেন চিকিৎসক। এক কথায় হাসপাতালে এসে একজন রোগীকে প্রাথমিক যেসব পরিষেবা মেলে সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতেও তাই মিলবে। পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বড়ডোবার বাসিন্দা শ্যামল বর্মন পেশায় কৃষক। তিনি বলেন, ‘পুরসভা হওয়ার পর আমাদের এলাকায় কোনও উন্নয়ন হয়নি। এমনকি হাসপাতালে যেতেও আমাদের নানা ঝুঁকি পোহাতে হয়। এই অবস্থায় একটি সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এখনও অবশ্য পরিষেবা চালু হয়নি। তবে আশা করছি সেখান থেকে দ্রুত পরিষেবা পাব।’

ফালাকাটা শহরে আছে ঝাঁ চকচকে সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল। কিন্তু পুর এলাকায় এমন একাধিক ওয়ার্ডও আছে যেখান থেকে সেই হাসপাতালের দূরত্ব কয়েক কিলোমিটার। ফালাকাটা পুর এলাকার কয়েকটি জায়গা থেকে আবার হাসপাতালে আসতে গেলে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। কখনও নৌকা চেপে আবার কখনও বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে আসতে হয়। এইসব এলাকা থেকে হাসপাতালে আসতে গিয়ে সবচেয়ে সমস্যায় পড়েন গর্ভবতী মহিলা, বাচ্চা-বয়স্ক থেকে অসুস্থ রোগীরা। পুর নাগরিকদের এই সমস্যা দূর করতেই এবার তাই একেবারে ওয়ার্ডের মধ্যেই ঝাঁ চকচকে স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি করছে পুরসভা। এগুলির নাম দেওয়া হয়েছে সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র। আর কয়েকদিনের মধ্যেই এই সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি চালু করা হবে বলে পুরসভা জানিয়েছে। পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মনোজ সাহা বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে একেবারে আধুনিকভাবে সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি তৈরি হয়েছে। এখন উদ্বোধনের অপেক্ষা। আশা করছি বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা এর সুবিধা পাবেন।’

People are also reading