হোম পিছনে ফিরে যান

বৃদ্ধার গলাকাটা লাশ উদ্ধার, ছেলের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ

risingbd.com 2 দিন আগে
বৃদ্ধার গলাকাটা লাশ উদ্ধার, ছেলের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ

ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাবেয়া খাতুন ওরফে ময়না নামে এক বৃদ্ধার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের ছোট ছেলের অভিযোগ, তার বড় ভাই জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে গলাকেটে হত্যা করেছে মাকে।

Google news

মঙ্গলবার (০২ জুলাই) দুপুরে ওই বৃদ্ধার মরদেহের ময়নাতদন্ত ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে সোমবার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বৃদ্ধা জেলা সদরের মাচ্চর ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর গ্রামের মৃত গেন্দু মল্লিকের স্ত্রী। তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তার শয়ন কক্ষে ঘটনাটি ঘটে। কিভাবে এমন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে সে বিষয়ে এখনও পরিবার ও পুলিশ কিছু জানাতে পারেনি। তবে ঘটনাটি পরিবারের পক্ষ থেকে গোপন করা হচ্ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছেন।

বুধবার (০৩ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে মাচ্চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বলেন,  সন্ধ্যায় নিজ শয়ন কক্ষে রাবেয়া খাতুনকে গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পায় তার বড় ছেলে কোরবান মল্লিক (৪২)। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তার ছেলে বলতে পারছে না। তবে ঘটনার সময় ওই বাড়িতে কোরবান মল্লিক, তার স্ত্রী ও মেয়ে ছিলেন। তারা নাকি কাউকেই ওই বাড়িতে আসতে দেখেনি। 

বিষয়টি নিয়ে নিহতের ছেলে কোরবান মল্লিক জানান, দুপুর দুইটায় তার মা ময়না বেগম শুয়ে ছিলেন। সন্ধ্যার আগে তিনি তার মায়ের গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তিনি চিৎকার করলে তার স্ত্রীসহ আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। পরে ময়না বেগমকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

নিহতের ছোট ছেলে এসকেন মল্লিক বলেন, আমার বড় ভাই এ বছর কোরবানির ঈদে বিদেশ থেকে বাড়িতে আসেন। তার পর থেকে মা সেখানেই থাকতেন। 

তিনি আরও বলেন, ‘বড় ভাই কোরবান মল্লিক মাকে জমি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিতেন। ধারণা করা হচ্ছে, জমি না লিখে দেওয়ায় ভাই-ভাবি মিলে মাকে হত্যা করেছে।’ 

এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান হাসান বলেন, ঘটনাটি প্রথমে পরিবারের পক্ষ থেকে গোপন করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। রাত আটটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেডিক্যাল হাসপাতালে গিয়ে মৃত অবস্থায় ওই বৃদ্ধাকে দেখতে পাই। পরে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়। 

তিনি আরও বলেন, কে বা কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে এখনও জানা যায়নি। তবে তদন্ত কার্যক্রম শেষে জানানো যাবে। এখনও পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

People are also reading