চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা সালাম ছিলেন বিএনপি নেতা আলম হত্যা মামলার আসামি
আজ শুক্রবার সকালে নয়ালাভাঙ্গা মোড়লপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সালামের বাড়ির সামনে নারী-পুরুষের ভিড়। স্বজনেরা আহাজারি করছেন। চেয়ারে বসেছিলেন কয়েকজন ব্যক্তি। সেখানে কথা হয়, সালামের ছোট ভাই শরিফুল ইসলামের। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্ত্রী ও তিন ছেলেকে রেখে গেল আমার ভাই। বড় ছেলেটা এসএসসি দিয়েছে। মেজ ছেলে পড়ে অষ্টম শ্রেণিতে ও ছোট ছেলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। এখন বাপহারা ছেলেদের লেখাপড়া কেমন করে হবে কে জানে।’
সেখানে বসে থাকা সালামের চাচাতো ভাই আবদুল মান্নান বলেন, ‘যখন সালামের ওপর হামলা হয়, তখন আমি ঘটনাস্থলের কাছেই ছিলাম। অন্তত ২০টি গুলি ও বহু ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছি। সালামের সারা শরীর গুলি করে ঝাঁজরা করে দেওয়া হয়। ককটেল বিস্ফোরণও ঘটানো হয় শরীরে। এরপর চায়নিজ কুড়াল দিয়ে কোপানোও হয়।’ তিনি বলেন, বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলামের নির্দেশে সালামকে হত্যা করা হয়। সেখানে উপস্থিত থাকায় স্কুলশিক্ষক আবদুল মতিনকেও গুলি করে মারা হয়। এর আগে ২৪ মার্চ রাতেও সালামকে বহন করা প্রাইভেট কারে গুলি ও ককটেল হামলা চালিয়েছিল প্রতিপক্ষের লোকজন। ভাগ্যক্রমে সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর বাঁচতে পারলেন না।