হোম পিছনে ফিরে যান

একের পর এক বাঁধ ভেঙে কুড়িগ্রামের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

news24bd.tv 2024/10/6
একের পর এক বাঁধ ভেঙে কুড়িগ্রামের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

কুড়িগ্রামে ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে দেখা দিয়েছে নদ-নদীতে তীব্র ভাঙন। দুধকুমার নদের করাল গ্রাসে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে ও সড়ক উপচে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে, তলিয়ে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ জনপদ। দীর্ঘ হচ্ছে বানভাসীদের তালিকা।

আজ রোববার (৭ জুলাই) সকালে কেদার ইউনিয়নের বাহের কেদার আকরাম মাস্টারের বাড়ির সামনে ভেঙে গেছে এলজিইডি ক্ষুদ্র ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের নির্মিত একটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় ১৫ মিটার। একই দিন বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ভোরে মুড়িয়া গ্রামে এক জায়গায় বাঁধ ভাঙার উপক্রম হলে এলাকাবাসী তা নিজ উদ্যোগে সংস্কার করেন। এছাড়া একই ইউনিয়নের তেলিয়ানীতে এর আগে শনিবার একটি বেরিবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে।

কচাকাটা থেকে আয়নালের ঘাটগামী পাকা সড়ক উপচে পানি প্রবেশ করছে বিস্তীর্ণ এলাকায়। তেলিয়ানী গ্রামের বাসিন্দা ওছমান গণি জানান, অস্বাভাবিকভাবে দুধকুমারের পানি বৃদ্ধির কারণে সকাল ১১টার দিকে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে থাকে। এখন ক্রমান্বয়ে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবেদ আলী বলেন, পানি যেভাবে প্রবেশ করছে তাতে করে তেলিয়ানীর অধিকাংশ ঘর-বাড়িতে পানি উঠে যাবে। একই অবস্থা যেসব এলাকায় বাঁধ ভেঙেছে তার আশেপাশের গ্রামগুলোর।

অপরদিকে, কেদার ইউনিয়নের বাহের কেদার গ্রামের আকরাম মাস্টারের বাড়ি সংলগ্ন স্থানীয় সরকার বিভাগের ক্ষুদ্র পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৫ মিটার জায়গা ভেগে হুহু করে পানি ঢুকতে থাকে তিনটি গ্রামে।

বামনডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রনি জানান, শনিবার মিয়াপাড়ায় বেড়িবাঁধের দুটি স্থান ভেঙে যায়। রোববার তেলিয়ানীতে বাঁধ উপচে লোকালয়ে ঢুকছে পানি। ফলে নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে অনেক গ্রাম।

জানা গেছে, এসব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক রূপ ধারন করছে। টানা সাত দিনব্যাপী স্থায়ী বন্যায় দুধকুমার, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদ তীরবর্তী এলাকার হাজার হাজার বন্যা প্লাবিত মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলার দুটি পৌরসভাসহ প্রায় ৬০টি ইউনিয়নের দুই লাখ মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে।

নাগেশ্বরী উপজেলা প্রকৌশলী আসিফ ইকাবাল রাজিব বাঁধ ভাঙার বিষয়ে জানান, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে আমাদের কেউ জানায়নি। খোঁজ খবর নিয়ে জানাতে পারবো।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, দুধকুমার নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ চলমান আছে। সেগুলো বা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভাঙার কোনো খবর তাদের কাছে নেই। গতকাল শনিবার যেটি ভেঙেছে সেটি একটি পুরাতন সড়ক। তারপরেও সেটি রক্ষার্থে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কোথাও কোনো সমস্যা থাকলে আমাদের নজরে দেয়া হলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেবো।

People are also reading