হোম পিছনে ফিরে যান

হাঁটু পানি ডিঙ্গিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন রাজিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিরন

jaijaidinbd.com 3 দিন আগে
ছবি-যায়যায়দিন

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চররাজিবপুর উপজেলা পরিষদে প্রবেশ করেছে। এছাড়া প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে উপজেলার দুটি ইউনিয়ন মোহনগঞ্জ ও কোদালকাটি ইউনিয়নের নতুন নতুন এলাকা এবং গ্রামের পর গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় হাজার হাজার মানুষ।

শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৭২ সেন্টিমিটার ও হাতিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষজন। বানভাসি পরিবারগুলো বসতবাড়িতে বাঁশের মাচা, নৌকা ও কলাগাছের ভেলায় আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অধিকাংশ পরিবারে পাঁচ দিন ধরে চুলা জ্বলছে না। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে তাদের গৃহপালিত পশুপাখি। চারণভূমি তলিয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট। গ্রামাঞ্চলের সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।

এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি বন্যার পানিতে প্লাবিত চররাজিবপুর উপজেলার রাজিবপুর সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মদনেরচর, ফাটকপাড়া, করাতিপাড়া ও দশঘরিয়াপাড়ার দূর্গতদের মাঝে হাটু পানি ডিঙ্গিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন রাজিবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিরন মো. ইলিয়াস। ত্রাণের মধ্যে ছিল চিড়া, মুড়ি, গুড়, বিস্কুট, স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন, এখন পর্যন্ত বানভাসিদের জন্য ৯ উপজেলায় ১৭৩ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লাখ টাকা বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মজুত আছে ৬০০ মেট্রিক টন চাল ও ৩০ লাখ টাকা, যা পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে।

যাযাদি/ এসএম

..

People are also reading