হোম পিছনে ফিরে যান

ইপিআর বাস্তবায়ন হলে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে

bonikbarta.net 2024/10/6
ছবি : এফবিসিসিআই

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেছেন, ইপিআর বাস্তবায়ন হলে শিল্পায়নের ফলে সৃষ্ট পরিবেশ দূষণ অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। আজ সোমবার (৮ জুলাই) রাজধানীর হাটখোলাস্থ এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে আয়োজিত উৎপাদনকারীর সম্প্রসারিত দায়িত্ব (ইপিআর) শীর্ষক অনুষ্ঠানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ব্যবসায়ীদের উদ্বেগের প্রেক্ষিতে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টি আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ এবং আমরা এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকার প্লাস্টিক খাতকে অগ্রাধিকার প্রাপ্ত রফতানি খাত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট জারি করেছে। এ সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী এবং কার্যকরী। ইপিআর বাস্তবায়িত হলে শিল্পায়নের ফলে সৃষ্ট পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ অনেকটা সম্ভব হবে। আমি মনে করি, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ইপিআর পরিবেশ দূষণ রোধে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক প্লাস্টিক বাজারের ৫৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে মাত্র শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ অংশ বাংলাদেশের। বাংলাদেশ সরকার এ খাতের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে প্লাস্টিক শিল্প উন্নয়ন নীতি প্রণয়ণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে প্লাস্টিক এবং প্লাস্টিক পণ্য রফতানি করে আয় হয়েছে ১ হাজার ৩৪২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। প্রতিযোগিতামূলক ও নতুন নতুন বাজার তৈরি হওয়ায় চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্লাস্টিক পণ্য রফতানি বেড়েছে প্রায় ১৮ শতাংশ।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মো. জসীম উদ্দিন বলেন, শ্রম এবং মূলধনকে একত্রিত করে প্লাস্টিক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির অভ্যন্তরীণ বাজার এবং রফতানিমুখী বাজার উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে বার্ষিক মাথাপিছু প্লাস্টিক ব্যবহার ২০০৫ সালে ৩ কেজি থেকে বেড়ে ২০২০ সালে ৯ কেজিতে উন্নীত হয়েছে। ঢাকায় বার্ষিক মাথাপিছু প্লাস্টিক ব্যবহার ২৪ কেজি। ইপিআর বাস্তবায়িত হলে আমাদের সার্কুলার ইকোনমিতে যেমন অবদান রাখবে, তেমনি পারিবেশ দূষণ রোধেও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই-আইআরসির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা আজাদ চৌধুরি বাবু, ভাইস চেয়ারম্যান এম এ এ মোমেন, বিপিজিএমইএ সভাপতি শামিম আহমেদ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের অন্যান্য পরিচালক ও বাংলাদেশের বিভিন্ন চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সদস্যরা।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল ও কান্ট্রি হেড ব্রিটিশ কাউন্সিল মি. শ্যানন ওয়েস্ট।

People are also reading