হোম পিছনে ফিরে যান

ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু

banglatribune.com 2024/5/19
মুজিবুল হক চুন্নু ও সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন (ছবি: সংগৃহীত)
© 2024 Bangla Tribune Online Media

সংসদ সদস্যদের ভাতা নিয়ে সোশ্যাল মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে স্বতন্ত্র এমপি সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে (ব্যারিস্টার সুমন) একহাত নিলেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। আলোচিত এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রকারান্তরে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৭ মে) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে ইঙ্গিত করে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আমাদের হাউজের একজন সংসদ সদস্য, নামটা বলতে চাই না। তিনি নতুন নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ফেসবুকে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে আমরা সবাই ভুক্তভোগী।’

সংসদ সদস্যদের ভাতা নিয়ে এমপি সুমনের সোশ্যাল মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘তিনি বলেছেন আপনারা জানেন এমপিরা কত টাকা বেতন পান? তারা তো বলে না, গোপন করে। তিনি বলেছেন ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা বেতন (মাসিক) পেয়েছেন। আমরা কত টাকা বেতন পাই তা লুকানোর কিছু নেই, ওয়েবসাইটে গেলে পাওয়া যাবে। তিনি আরও বলেছেন, তিন মাসের মধ্যে ২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। সেটা কীভাবে পেলেন- গমের জন্য তিন কোটি টাকা। আর বাকি ২৫ কোটি টাকা পেয়েছেন রাস্তার জন্য।’

স্পিকারকে উদ্দেশ করে চুন্নু বলেন, ‘এই ২৮ কোটি টাকা কি আমি পেয়েছি, আপনি (স্পিকার) পেয়েছেন? প্রধানমন্ত্রী পেয়েছেন? ইতোমধ্যে ফেসবুক দেখে আমাকে অনেকেই বলছেন ২৮ কোটি টাকা পেয়েছেন, এই টাকা কই? তিনি বলেছেন ২৫ কোটি টাকা পেয়েছেন, কিন্তু আমরা তো পাইনি।’

স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে পাঁচ বছরে ২০ কোটি টাকা এমপিদের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়ার কথা উল্লেখ করে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ বলেন, ‘এইবার বলেছেন পাঁচ বছরের জন্য ২৫ কোটি টাকার প্রকল্পের নাম দেওয়ার জন্য। আগামী ৫ বছরের জন্য কয়টা প্রকল্প করবো তার নাম দিয়েছি আমরা। টাকার সঙ্গে তো আমার কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা নাম দেই স্থানীয় সরকার বিভাগ জরিপ করে টেন্ডার করে, তারপরে বাস্তবায়ন করে। কিন্তু সংসদ সদস্য বলছেন আমরা ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। শুধু তাই না, তিনি আরও বলেছেন-এমপি হলে যদি এতো লাভ হয়, তাহলে আরও আগে এমপি হতাম।’

স্পিকারকে উদ্দেশ্য করে এই এমপি বলেন, ‘আপনি হলেন এই সংসদের অভিভাবক। আমাদের কোনও সদস্য যদি এমন কোনও কথা বলেন- যে কথায় প্রধানমন্ত্রী, স্পিকারসহ ৩৪৯ জন এমপি (সায়েদুল হক সুমন ছাড়া) সম্পর্কে ভুল বার্তা যাবে। তার সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করার জন্য যদি এ ধরনের কথায় ভুল বার্তা যায়, বিষয়টা আপনি দেখতে পারেন। আমরা এখানে অনেক কথা বলবো, বির্তক করবো। এমন কথা বলার অধিকার নেই যাতে ৩৪৯ এমপির ইজ্জত যাবে। তাদের সম্পর্কে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে। তাই অভিভাবক হিসাবে ওই সংসদ সদস্যকে ডেকে কী করবেন, এটা ব্যবস্থা নেবেন।’

শিক্ষকদের অবসর সুবিধা নিয়ে হয়রানি

অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘সরকার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জন্য অবসরভাতা ও কল্যাণ ট্রাস্ট করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো এই সুবিধা পেতে শিক্ষকেরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অবসরে যাওয়ার ২–৩ বছর পরও সুবিধা পাচ্ছেন না। অনলাইনে আবেদন করার পর বলা হয়, আবেদন পাওয়া যায়নি।’

তিনি বলেন, ‘একাধিক ব্যক্তি তার কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। এ কারণে তিনি আজ মঙ্গলবার দুই ঘণ্টা চেষ্টা করেও কল্যাণ ট্রাস্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পারেননি। পরে তিনি মাউশির মহাপারিচালকের সঙ্গে কথা বলেন। মহাপরিচালক জানান, অর্থের অভাবে এই অবস্থা। তবে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি কিছু অর্থের ব্যবস্থা করবেন।’

লতিফ সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘প্রত্যন্ত গ্রামের বয়স্ক ও নারী শিক্ষকদের অনেকের পক্ষে ঢাকায় এসে তদবির করা সম্ভব হয় না। এ জন্য শিক্ষকেরা যাতে অবসর ও কল্যাণ সুবিধা সহজে পান সে ব্যবস্থা করার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।’

People are also reading