হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের গড়মাছুয়া টানপাড়া গ্রামে কাদা রাস্তা -প্রতিদিনের সংবাদ
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের একটি গ্রামে কাঁচা রাস্তা পাকাকরণ না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের গড়মাছুয়া টানপাড়া গ্রামের রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, গড়মাছুয়া টানপাড়া গ্রামের রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় বর্ষার বৃষ্টিতে কাদায় চলাচলের একদম অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ রাস্তা দিয়ে গ্রামের হাজারও মানুষ প্রতিদিন হাটবাজার, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা সদর, জেলা শহরে যাতায়াত করে। প্রতিদিনই মানুষ এই রাস্তায় চলতে নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। বিশেষত বয়স্ক মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ সর্বস্তরের মানুষ বিপদগ্রস্ত। রাস্তার বেহাল ফলে কোনো গাড়িচালক এ সড়ক দিয়ে গাড়ি নিয়ে আসতে চায় না।
স্থানীয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, ওই কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় পা পিছলে অনেক শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। কেউ অসুস্থ হলে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নেওয়ার ক্ষেত্রেও ভোগান্তিতে পড়তে হয় রোগীদের। তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা সংশ্লিষ্ট কেউই কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই ওইসব রাস্তায় কাদায় যানবাহন চলাচলে অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। এমনকি খালি পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টসাধ্য হয়ে যায়।
সরেজমিনে ওই রাস্তায় দেখা গেছে, কাঁদার মধ্য দিয়ে হেটেই মানুষ চলাচল করছেন। মোটর সাইকলে, সাইকেল নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে মানুষ বিপাকে পড়ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা জাহেদ আলী, শফির উদ্দিন, হাদিকুল, আলমগীর সহ অনেকে জানান, চলাচলের জন্য গ্রামের ভেতর দিয়ে যাওয়া এক কিলোমিটার এই কাঁচা রাস্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাস্তাটি হোসেনপুর-দেওয়ানগঞ্জ সড়কের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। গ্রামের প্রায় দুই হাজারেরও অধিক মানুষ এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। ৫০ একরের অধিক জমির ফসল এ রাস্তা দিয়েই ঘরে তুলতে হয়।
সিদলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কাঞ্চন জানান, ওই রাস্তা সংস্কার ও পাকাকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। স্থানীয় এলজিইডি অফিস থেকে খুব শীঘ্রই কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন