লেবাননের বিরুদ্ধে নতুন করে যুদ্ধ শুরু হলে ইসরাইল অভিমুখে পাঁচ লাখ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করবে হিজবুল্লাহ। বৈরুতে লেবাননের গ্র্যান্ড শিয়া মুফতি শেখ আহমাদ কাবালান এক সভায় এ বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ শুরু হলে ইসরাইল যেন পাঁচ লাখ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত সহ্য করার জন্য প্রস্তুত থাকে। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের বিধ্বংসী ক্ষমতা দখলদার সরকারকে ৭০ বছর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। খবর পার্সটুডের।
লেবাননের শিয়া ওই গ্র্যান্ড মুফতি আরও বলেন, ইসরাইলি কর্মকর্তারা হিজবুল্লাহকে পরাজিত করা সম্ভব বলে এক চরম বিভ্রান্তির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তিনি জানান, ইসরাইলের কাছে সমরাস্ত্র ও গোলাবারুদের বিশাল ভা-ার থাকা সত্ত্বেও গত আট মাস ধরে তারা গাজা উপত্যকায় হামাস যোদ্ধাদের পরাজিত করতে পারেনি। অথচ গাজার যোদ্ধারা সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি সাধারণ মানের অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করছে।
পক্ষান্তরে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কাছে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এক বিশাল সমরাস্ত্র ভা-ার। লেবাননের শিয়া গ্র্যান্ড মুফতির এ হুঁশিয়ারির আগে হিজবুল্লাহ মহাসচিব হাসান নাসরুল্লাহ গত বুধবার হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, ইসরাইল যদি লেবাননের বিরুদ্ধে পূর্ণ মাত্রার আগ্রাসন চালায়, তাহলে ইসরাইলের কোনো অংশ তার যোদ্ধাদের হামলা থেকে বাদ যাবে না। এরপর রবিবার হিজবুল্লাহ ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনাগুলোর স্যাটেলাইট ইমেজ প্রকাশ করে তেলআবিবকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।
হিজবুল্লাহ তেলআবিবকে এই বার্তা দিতে চেয়েছে যে, পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ শুরু হলে এসব স্থাপনাকে টার্গেট করা হবে। যে কোনো মুহূর্তে লেবাননে সর্বাত্মক হামলা শুরু করতে পারে ইসরাইল। হামলার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশও দিয়েছে ইহুদিবাদী দেশটি। লেবাননের শিয়া গ্র্যান্ড মুফতি আরও বলেন, উত্তেজনা ছড়িয়ে দেওয়ার যে কোনো প্রচেষ্টা ইসরাইলের স্বার্থ নয়, বরং প্রতিরোধ ফ্রন্টের স্বার্থ রক্ষা করবে। প্রতিরোধ ফ্রন্ট কেবল লেবাননের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে চায়।