হোম পিছনে ফিরে যান

সখীপুরে কাঁঠাল নিয়ে বিপাকে কৃষক

jaijaidinbd.com 3 দিন আগে
ছবি: যায়যায়দিন

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সপ্তাহে প্রায় ৫০ লাখ টাকার কাঁঠাল বাজারজাত হয়। পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় উপজেলার হাটগুলোতে বিপুল পরিমাণ কাঁঠাল বিক্রি হলেও দাম নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন কৃষক ও খুচরা বিক্রেতারা।

তাঁরা বলছেন, গাছ থেকে কাঁঠাল সংগ্রহ করে হাটে নিয়ে আসতে যে খরচ হয়, বিক্রি করে সেই পরিবহন খরচ মেটাতেই টাকা শেষ হয়ে যায়। একারণে কেউ কেউ বাজারে কাঁঠাল নিতেও চায় না। আবার গরু, ছাগলকে দিলেও খেতে চায় না এসব কাঁঠাল। ফলে অনেক কাঁঠাল গাছের নিচে পড়েও পঁচে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় কাঁঠাল নিয়ে বিপাকে পড়েছে এ অঞ্চলের চাষীরা।

উপজেলার কাঁঠালের হাটগুলোর মধ্যে অন্যতম কুতুবপুর, মহানন্দপুর, নলুয়া, তক্তারচালা ও দেওদিঘী। এর মধ্যে কুতুবপুর সারা বছর কলার হাট হিসেবে পরিচিত থাকলেও জ্যৈষ্ঠের শুরু থেকেই রূপ পাল্টে কাঁঠালের হাটে পরিণত হয়। উপজেলার বড়চওনা ইউনিয়নে অবস্থিত এ হাটেই সপ্তাহে প্রায় ৩০ লাখ টাকার কাঁঠাল বেচাকেনা হয়। সপ্তাহের শনি-রবি ও মঙ্গল-বুধবার বসে এ হাট।

স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম মিয়া ও হারিজুল ইসলাম জানান, সখীপুরের বিভিন্ন গ্রাম থেকে কাঁঠাল কিনে কুতুবপুর, দেওদিঘী, তক্তারচালা হাটে পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন তাঁরা।

ঢাকা থেকে কাঁঠাল কিনতে আসা আবেদ আলী বলেন, ‘আমি প্রতি সপ্তাহে কাঁঠাল কিনতে সখীপুরে আসি। এক ট্রাক কাঁঠাল (দুই হাজার) কিনে নিয়ে যাই, সারা সপ্তাহ ধরে বিক্রি করি। কিছু লাভ থাকে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিয়ন্তা বর্মন বলেন, কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। এর প্রতিটি অংশ কোনো না কোনোভাবে খাওয়ার উপযোগী। সখীপুরের প্রায় প্রতি বাড়িতেই কমবেশি কাঁঠালগাছ দেখা যায়। এ অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে কাঁঠাল চাষ করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

যাযাদি/ এসএম

People are also reading