র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশিদের অবস্থানের ব্যাপক রদবদল
জিম্বাবুয়ে সিরিজে দারুণ বোলিং করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। বিশেষ করে তাসকিন আহমেদ; ইনজুরিতে পড়ার আগে জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের নাকানি চুবানি খাইয়ে ছেড়েছেন তাসকিন। ইনজুরিতে পড়ায় বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে শঙ্কা থাকলেও দারুণ বোলিংয়ের পুরস্কার হিসেবে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন তাসকিন। এগিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হাসানও। তবে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে পতন অব্যাহত আছে শান্ত-লিটনদের।
আইসিসির টি-টোয়েন্টি বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ এগিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। ৫৭৯ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ২৩ নম্বরে উঠে এসেছেন তিনি। জিম্বাবুয়ে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ খেলে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে পাঁচ ধাপ এগিয়েছেন বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানও। ৫৭২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ২৫ নম্বরে উঠে এসেছেন তিনি।
তবে সবচেয়ে বড় লাফটা দিয়েছেন রিশাদ হোসেন। এই লেগ স্পিনার ২১ ধাপ এগিয়ে ঢুকে পড়েছেন সেরা ১০০ এর মধ্যে। ৮৯ নম্বরে আছেন রিশাদ। সিরিজে পাঁচ উইকেট শিকার করা সাকিব আল হাসানও এক ধাপ এগিয়ে ৩০ নম্বরে উঠেছেন।
তাসকিন-রিশাদরা উন্নতি করলেও অবনতি হয়েছে শেখ মেহেদী, নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদের। সাত ধাপ পিছিয়ে ২৯ নম্বরে নেমে গেছেন শেখ মেহেদী। অন্যদিকে বিশ্বকাপে স্ট্যান্ডবাই তালিকায় জায়গা পাওয়া হাসান মাহমুদ ছয় ধাপ পিছিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওবেদ ম্যাকয়ের সঙ্গে ৫৭ নম্বরে আছেন।
দলের বাইরে থাকা নাসুম আহমেদ ও জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলা শরিফুল ইসলাম পিছিয়েছেন দুই ধাপ করে। দক্ষিণ আফ্রিকার লুঙ্গি এনগিডির সঙ্গে যৌথভাবে ৪৫ নম্বরে নাসুম ও ৪২ নম্বরে আছেন শরিফুল।
এদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভালো করায় ১৪ ধাপ এগিয়েছেন জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি। ৫৫ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। পাঁচ ধাপ এগিয়ে সিকান্দার রাজা আছেন ৬৩ নম্বরে। এক ধাপ এগিয়ে ৪১ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন রিচার্ড এনগারাভাও।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে যথারীতি শীর্ষে আছেন ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ। সেরা দশে নেই কোনো পরিবর্তন। এদিকে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে পতন অব্যাহত আছে লিটন দাসের। আরও ৪ ধাপ নেমে ৩৫ নম্বরে আছেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটার। বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও ছয় ধাপ পিছিয়েছেন। ৫২৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ইংল্যান্ডের লিয়াম লিভিংস্টোনের সঙ্গে যৌথভাবে ৪০ নম্বরে আছেন শান্ত।
পিছিয়েছেন সাকিব ও আফিফও। ১০ ধাপ পিছিয়ে ৭৯ নম্বরে নেমে গেছেন আফিফ। ৮ ধাপ পিছিয়ে সাকিব আছেন তার পরেই।
লিটন-শান্তদের অবনতি হলেও দারুণ উন্নতি হয়েছে তাওহীদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। ১৮ ধাপ এগিয়ে হৃদয় উঠেছেন ৭২ নম্বরে। আর রিয়াদ ৬ ধাপ এগিয়ে আছেন ৭৫ নম্বরে।
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।