অনুসারীর চাপাতির কোপে আঙুল গেলো স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার
কুমিল্লায় কর্মীর চাপাতির কোপে হাতের আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার। রবিবার (১৬ জুন) দুপুরে দেবীদ্বার উপজেলার বাগুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহত লিটন সরকার (৪৫) বাগুর গ্রামের মৃত আবদুল মজিদ সরকারের ছেলে। তিনি কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক।
অন্যদিকে অভিযুক্ত কাউছার একই এলাকার মৃত আবদুর রাজ্জাকের ছেলে এবং লিটন সরকারের দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সহচর বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান।
অভিযোগ আছে, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী কাউছারের স্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে লিটন সরকারের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। গত বুধবার দুপুরে কাউছারের অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান লিটন সরকার। পরে কাউছার বাসায় গিয়ে নিজের স্ত্রীর সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লিটন সরকারকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেন। এ ঘটনায় লিটন সরকার তাৎক্ষণিক ধামাচাপা দিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যান। পরে কাউছার স্ত্রীর কাছে সব জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে লিটন সরকারকে কয়েকদিন ধরে খুঁজতে থাকেন।
আহত লিটনের ভাই সারোয়ার সরকার বলেন, ভাই লিটন সরকার বাগুর মসজিদে জোহরের নামাজ পড়ে বাজারে সবজি কিনছিলেন। তখন কাউছার চাপাতি দিয়ে ভাইয়ের মাথায় কোপ দেন। ভাই সরে গেলে কোপ বাঁ হাতে লাগে। এতে বাঁ হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোন ভেঙে যায়। খবর পেয়ে ভাইকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে গেছি। সন্ধ্যা ৭টায় তার অস্ত্রোপচার শুরু হয়।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত কাউছারের মোবাইল নম্বরে কল করলে বন্ধ পাওয়া যায়।
দেবীদ্বার থানার ওসি নয়ন মিয়া বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ওপর হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। হামলাকারী কাউছারের সঙ্গে লিটন সরকারের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।