জামালপুরের সরিষাবাড়িতে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র ফাঁস, উত্তর আদান-প্রদান ও নকলের দায়ে ১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এসময় কক্ষ পরিদর্শক দুই শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
২ জুলাই, মঙ্গলবার সরিষাবাড়ী সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্র সচিব মাজনুনুল হক।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীর নাম সৈয়দ আহসান হাবীব। সে এস এম টেকনিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী।
এছাড়াও অব্যাহতি প্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন, চর বাঙ্গালী বিএম কলেজের শিক্ষক রুবেল মিয়া ও সরবান হাসান বিএম কলেজের শিক্ষক মহসিন মিয়া।
জানা যায়, মঙ্গলবার এইচএসসি (কারিগরি) ইংরেজি ২য় বিষয়ের পরীক্ষা চলছিল। এসময় সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে স্মার্টফোন সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিল শিক্ষার্থী আহসান হাবীব। এসময় স্মার্টফোন ব্যবহার ও নকলের দায়ে ঐ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার। এসময় পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত দুই শিক্ষক রুবেল ও মহসিনকে দ্বায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সেই সাথে অব্যাহতি প্রাপ্ত ২ শিক্ষককে কারণ দর্শানোর চিঠিও দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলার পাট অধিদপ্তরের পরিদর্শক আওরংগযেব বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার হল পরিদর্শনে গেলে বিষয়টি তার নজরে আসে। পরে ঐ শিক্ষার্থী ও কক্ষে দ্বায়িত্ব থাকা দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেন।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করা হয়। এসময় সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখতে পাই মোবাইল ব্যবহার করে পরীক্ষা দিচ্ছে। পরে ১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া ওই কক্ষে দায়িত্বরত দুই শিক্ষককে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
বিবার্তা/মনির/এমজে