হোম পিছনে ফিরে যান

দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করেই ভারতের সঙ্গে সমঝোতা সই-নবায়ন

jagonews24.com 2024/7/3
দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করেই ভারতের সঙ্গে সমঝোতা সই-নবায়ন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ/ফাইল ছবি

বাংলাদেশের স্বার্থে ও স্বার্থ সংরক্ষণ করেই সরকার ভারতের সঙ্গে নতুন সমঝোতা স্মারক সই ও পুরোনো সমঝোতা স্মারক নবায়ন করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রীর সদ্যসমাপ্ত ভারত সফর নিয়ে বিএনপির বিরূপ মন্তব্য বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি মহাসচিব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের পার্থক্য না বুঝে, না পড়েই মন্তব্য করছেন। কারণে-অকারণে সরকারের বিরোধিতা করাই তাদের কাজ।

ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে পারস্পরিক মর্যাদাপূর্ণ অভিহিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর প্রথম সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সফরের আমন্ত্রণ জানান। ভারত আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু। আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারত যেভাবে সহায়তা করেছে, তাদের সৈনিকরা যেভাবে জীবন দিয়েছে, আমাদের প্রায় এক কোটি মানুষকে যেভাবে আশ্রয় দিয়েছে, তাতে তাদের সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক, তা অবিচ্ছেদ্য।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তারা প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করতে পারেনি। বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়া নিজেই বলেছেন যে তিনি ভারতে গিয়ে গঙ্গা চুক্তির কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলেন আর ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গঙ্গা চুক্তি করেছেন বিধায় আমরা পানি পাচ্ছি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দুই দেশের সম্পর্ক যে নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে, তার ফলেই আমরা নেপাল থেকে ভারতের ওপর দিয়ে ট্রান্সমিশন লাইন দিয়ে জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে পারছি, ভুটানের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। সম্পর্কের কারণেই এ বছর কোরবানির আগে ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে।

এ সময় ভারতের সঙ্গে ‘কানেকটিভিটি’ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ঢাকা-কলকাতা, খুলনা-কলকাতা রেল যোগাযোগ বিদ্যমান। ভারতের পাশাপাশি নেপাল, ভুটানসহ আঞ্চলিক রেল ও সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নে কাজ চলছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোর সঙ্গে ভারতের নানা অঞ্চলের যোগাযোগ বহুদিন ধরে। ১৯৬৫ সালের পর অনেক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সেগুলো আবার চালু করা হচ্ছে।

আইএইচআর/বিএ/জিকেএস

People are also reading