হোম পিছনে ফিরে যান

৭ নদীর ১৬ পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ওপরে

banglatribune.com 4 দিন আগে

উজানে এবং দেশের ভেতরে ভারী বৃষ্টির প্রবণতা কিছুটা কমে এসেছে। এরপরও বেশ কিছু নদীর পানি বাড়ছে। এর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মার সঙ্গে যুক্ত নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ছে। বাড়ছে কুশিয়ারা নদীর পানিও।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ জেলার নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে কুড়িগ্রাম জেলার বন্যার পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, ভারী বৃষ্টিতে বাড়তে শুরু করেছে নদীর পানি। গতকাল ৫ নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে ছিল, আজ ৭ নদীর ১৬ পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ওপরে অবস্থান করছে। সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টের পানি গতকাল নিচে নামলেও আজ আবার তা বেড়ে বিপদসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। তবে সুনামগঞ্জ পয়েন্টের পানি ২৭ থেকে নেমে ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই নদীর সিলেট পয়েন্টের পানি ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

নেত্রকোনায় সোমেশ্বরী নদীর কলমাকান্দা পয়েন্টের পানি আজ বিপদসীমার ৫৭ থেকে কমে ৫৩  সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারা নদীর মারকুলি পয়েন্টের পানি ৩২ থেকে বেড়ে ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। একই নদীর শেওলা পয়েন্টের পানি ২২ থেকে বেড়ে ৪৩, শেরপুর- সিলেট পয়েন্টের পানি ৭ থেকে বেড়ে ২০, অমলশীদ পয়েন্টের পানি ১৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে৷

এর বাইরে মনু নদীর মৌলভীবাজার পয়েন্টের পানি ১০ থেকে ৪৮, নতুন করে মনু রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টের পানি ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। ভোগাই নদীর পানি বিপদসীমার নিচে নেমেছে। তবে নতুন করে ব্রহ্মপুত্র নদের নুনখাওয়া পয়েন্টের পানি ১৪, হাতিয়া পয়েন্টের পানি ২০, চিলমারি পয়েন্টের পানি ৯, যমুনা নদীর সাঘাটা পয়েন্টের পানি ৫, খোয়াই নদীর বল্লাহ পয়েন্টের পানি ৯০ এবং হবিগঞ্জ পয়েন্টের পানি ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। 

গত ২৪ ঘণ্টায় কেন্দ্রের স্টেশনগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে রাজশাহীতে ১২৭ মিলিমিটার, আর সর্বনিম্ন বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামের নারায়ণহাটে ৪৬ মিলিমিটার। এছাড়া উজানে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে আগরতলায় ৪১ মিলিমিটার, আর সর্বনিম্ন বৃষ্টি হয়েছে আসামের শিলচরে ৩৩ মিলিমিটার।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাসে বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। তবে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, ভুগাই ও কংস নদীগুলোর পানি কমছে, অপরদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে আগামী ২৪ ঘণ্টায় মাঝারি থেকে ভারী এবং ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ জেলার যমুনা নদী সংলগ্ন কয়েকটি পয়েন্টে পানি বেড়ে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম জেলার ব্রহ্মপুত্র নদ সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যার পরিস্থিতি কিছুটা অবনতি হতে পারে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আনাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপবাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মননিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে।

People are also reading