ঠাকুরগাঁওয়ে সাপের কামড়ে নারী ও শিশুর মৃত্যু
Read Time:3 Minute, 19 Second
আজ রবিবার সকালে সুভ্রতার ও দুপুরে সাহারা বানুর মৃত্যু হয়। তবে তাদের কী সাপে কামড় দিয়েছে সেটা সম্পর্কে জানা যায় নি।
নিহত সুভ্রতা জুই উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের চৌটাকী গ্রামে আকালু চন্দ্রের কন্যা ও চৌটাকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আর সাহারা বানু পাড়িয়া ইউনিয়নের নিটলডোবা গ্রামের জয়নালের স্ত্রী।
সাপের কামড়ে দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ফিরোজ কবির।
পুলিশ ও পরিবার সূত্র জানা যায়, ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় বিছানায় সুভাত্রা জুইকে সাপে কামড় দেয়। ব্যথা অনুভব করায় সুভাত্রা তার মাকে জানায় কী যেন তাকে কামড় দিয়েছে। পরে তার মা দেখে একটি সাপ ঘর থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছে। তবে কোন সাপ সেটি বলতে পারেন নি। তাকে চিকিৎসার জন্য ওঝা ডেকে আনা হয়। পরে তার অবস্থা অবনতি হয়ে ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ির কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ সাপের কামড়ে আক্রান্ত হন শাহারা বানু। বৃষ্টির জন্য সাহারা বানুর কোন চিকিৎসা করতে পারেনি তার পরিবার। আজ রবিবার সকালে সাহারা বানুকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। দায়িত্বরত চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরে যাওয়ার পথে সাহারা বানুর মৃত্যু হয়।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মোঃ আহাদুজ্জামান সজিব জানায়, সাপের কামড়ে আক্রান্ত নারী হাসপাতালে আসতে দেরি করায় সময়মত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়নি। সে কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন বলেন, ‘সাপে কাটার পরে সাথে সাথে হাসপাতালে না নিয়ে ওঝার কাছে চিকিৎসা করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। মূলত এই কারণে সাপে কাটার পরে মৃত্যুঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগ সব সময় প্রচার করছে সাপে কাটা মাত্র নিকটতম সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার।’