হোম পিছনে ফিরে যান

বেনজীরের সাড়ে ৪৩ কোটি টাকার সম্পদের বৈধ উৎস পায়নি দুদক

rtvonline.com 3 দিন আগে
ছবি: সংগৃহীত
Bengal

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও দুই কন্যার স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে সাড়ে ৪৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রাথমিকভাবে এসব সম্পদের কোনো উৎস পায়নি অনুসন্ধান টিম।

অবৈধ এসব সম্পদের মধ্যে রয়েছে ঢাকায় কয়েকটি ফ্ল্যাট এবং বিভিন্ন ব্যাংকে জমা রাখা বিপুল পরিমাণ অর্থ। অনুসন্ধানের স্বার্থে এখনই এসব সম্পদের বিবরণ প্রকাশ করতে চাচ্ছে না সংস্থাটি। বেনজীর পরিবারের স্থাবর ও অস্থাবর এসব সম্পদের দালিলিক তথ্য-প্রমাণও পেয়েছে তারা।

অনুসন্ধান টিম প্রাথমিকভাবে বেনজীর আহমেদের নামে নয় কোটি ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৫৬৫ টাকা, তার স্ত্রী জীসান মীর্জার নামে ২১ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ৪৩ টাকা, জ্যেষ্ঠ কন্যা ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীরের নামে আট কোটি ১০ লাখ ৮৯ হাজার ৬৯৬ টাকা এবং মেজো কন্যা তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে চার কোটি ৭৫ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৮ টাকা থাকার কথা জানতে পেরেছে। আপাতত এ তথ্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য যথেষ্ট বলে মনে করছে অনুসন্ধান টিম।

প্রাথমিক এ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের বিবরণ চেয়ে ইতোমধ্যে আলাদা নোটিশ দিয়েছে দুদক।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সম্পদের নোটিশ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন বলেন, বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানকারী টিম প্রাথমিক অনুসন্ধানে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে। এজন্য তাদের নামে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারা মোতাবেক আলাদা আলাদা সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে।

এ বিষয়ে দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, প্রকৃতপক্ষে আদালতের নির্দেশনায় বেনজীর আহমেদের প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক বা ফ্রিজ করা হয়েছে। আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল, সম্পত্তি যেন কোনোক্রমেই বেহাত না হয়ে যায় কিংবা পাচার না হয়ে যায় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া। বর্তমানে সম্পদগুলো একটি একটি করে যাচাই করে দেখা হচ্ছে। অনেক সম্পদ তার আয়কর নথিতে দেখানো আছে। আপাতত ওই সম্পদগুলো আমলে নিয়ে অবৈধ সম্পদের হিসাব করা হচ্ছে। কারণ দুদকের মামলায় দালিলিক প্রমাণ দরকার হয়।

তিনি বলেন, হাজার কোটি টাকার সম্পদ মনে হলেও মামলাযোগ্য হিসেবে অফিসিয়াল দলিলকেই আমলে নিতে হবে। সেই হিসেবে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৪৩ কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদকে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত বলে প্রমাণ পেয়েছে দুদক টিম।

প্রসঙ্গত, বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তিনি ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক(আইজিপি)ছিলেন। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র‍্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

People are also reading