হোম পিছনে ফিরে যান

রাঙ্গাবালীতে এলাকাবাসীর চাঁদা ও শ্রমে দিয়ে সড়ক সংস্কার

jaijaidinbd.com 2024/10/6
ছবি: যায়যায়দিন

দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়া পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় এলাকাবাসীর উদ্যোগে প্রায় ১ হাজার মিটার গ্রামীণ কাঁচা সড়ক সংস্কার করা হয়েছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের সামুদফাৎ গ্রামের ডাক্তার থেকে ইটের রাস্তার মাথায় প্যাদা বাড়ী পর্যন্ত সড়কটি গত সোমবার থেকে কাজটি শুরু হয়ে এখন প্রায় শেষের দিকে। স্কুল-কলেজ ও স্থানীয়দের চলাচলের কথা চিন্তা করে মাটি ও বালু ভরাট করে সড়কটি মেরামত করেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার না করা ও বর্ষা মৌসুমে মাহিন্দ্রা গাড়ী (ভাড়ী যান) ও পাওয়ার টিলার চলাচল করায় রাস্তাটি মানুষ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের কাছে গিয়ে কোন কাজ হয়নি। অবশেষ স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে চাঁদা তুলে ও স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে রাস্তাটি সংস্কারের কাজ শুরু করেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কেউ সড়কের মাঝ থেকে মাটি কেটে পাশে তুলছেন আবার কেউ সেই মাটি ঝুড়িতে করে সড়কের পাশে ফেলছেন। আবার কোথায় ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলছেন। আর যারা এসব কাজে এগিয়ে এসেছেন তারা সবাই স্বেচ্ছাশ্রমী।

তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন সড়কটি সরকারিভাবে কোনো সংস্কার কাজ করা হয়নি। অনেক স্থানে বড় বড় গর্ত হয়েছে। বৃষ্টি হলে সেখানে পানি জমে। চলাচলে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাচ্ছে এলাকাবাসী। তবে, সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। তাই কোন উপায় অন্ত না পেয়ে এলাকাবাসীর উদ্যোগে সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়।

সড়ক সংস্কারে উদ্যোগগ্রহণকারী বেল্লাল প্যাদা ও রিয়াজ ডাক্তার জানান, এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ অনেকের কাছে রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু কেউ উদ্যোগ নেননি। তাই নিজেরাই উদ্যোগটা নিয়েছি। গ্রামের সবাই সাধ্যমতো চাঁদা দিচ্ছেন। সেই টাকা দিয়ে কাজ শুরু করা হচ্ছে। এ ছাড়া সবাই শ্রম দিয়ে সংস্কারকাজে অংশ নিয়েছেন। তবে বর্ষার সময় রাস্তাটি রক্ষার জন্য ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ করার প্রয়োজন।

বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল মন্নান গাজীর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমাকে রাস্তার জন্য প্রস্তাব দিলে আমি তাকে বলেছি এই মুহুর্তে আমার কাছে কোন বরাদ্দ নেই। তবে, আমি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে আলাপ করে ওখানে রাস্তার জন্য একটি বরাদ্দ করাবো।

এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অজিত কুমার দেবনাথ বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর কিংবা চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত কোন প্রস্তাব আসেনি ফলে সড়কটি সংস্কার করা হয়নি। তবে প্রস্তাবনা আসলেই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে যে কাজটি করেছে এটা খুবই ভালো কাজ এক্ষেত্রে যদি আরো সহযোগিতা প্রয়োজন হয় আমরা দেখবো। পাশাপাশি সড়কটি টেকসই করার জন্য আমরা খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

যাযাদি/ এসএম

People are also reading