হোম পিছনে ফিরে যান

দুদকের মামলায় তিতাস গ্যাসের অফিস সহায়কের তিন স্ত্রীকে কারাদণ্ড

desh.tv 2024/10/6

কুমিল্লায় দুদকের মামলায় তিতাস গ্যাসের এক অফিস সহায়কের তিন স্ত্রীকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অবৈধ সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ঢাকার অফিস সহায়ক জহিরুল ইসলামের তিন স্ত্রীকে এই সাজা দেওয়া হয়। তবে তিন স্ত্রীর সাজা হলেও স্বামী জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে সকল মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়।

গতকাল রোববার বিকেলে কুমিল্লার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বেগম শামসুন্নাহার তিনটি মামলায় জহিরুলের তিন স্ত্রীর বিরুদ্ধে এ রায় দেন। এ সময় তাঁদের পৃথক মেয়াদে কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

অফিস সহায়ক জহিরুল ইসলামের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার আনন্দপুর গ্রামে। স্ত্রীদের সঙ্গে প্রতিটি মামলাতেই দ্বিতীয় আসামি হিসেবে নাম ছিল জহিরুলের। রায় ঘোষণার সময় জহিরুল ও তাঁর তিন স্ত্রী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে দণ্ডপ্রাপ্ত তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

দুদক কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক ফজলুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দুদক এই কর্মকর্তা জানান, স্থাবর, অস্থাবর অবৈধ সম্পত্তি অর্জনের দায়ে তিতাস গ্যাসের ঢাকা অফিসের অফিস সহায়ক জহিরুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী সেলিনা আক্তারকে ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ১২ লাখ ১২ হাজার ৩০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। দ্বিতীয় স্ত্রী আকলিমা আক্তারকে চার বছরের কারাদণ্ড এবং ৩৪ লাখ ৩ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া তৃতীয় স্ত্রী আছমা আক্তারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫১ লাখ ৯৯ হাজার ৮০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত। অর্থদণ্ডের টাকা রাষ্ট্রের কোষাগারে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুদক কুমিল্লা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৯ ফ্রেব্রুয়ারি দায়েরকৃত পৃথক তিনটি মামলায় সেলিনা আক্তার, আকলিমা আক্তার ও আসমা আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগ তদন্তপূর্বক মামলার বাদী ছিলেন দুদক কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান।

এমএ

People are also reading