হোম পিছনে ফিরে যান

সিলেটে বন্যা প‌রি‌স্থি‌তি অপ‌রিবর্তিত, বেড়েছে ভোগা‌ন্তি

prothomalo.com 2024/10/6

সিলেটে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে তৃতীয় দফার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত আছে। তবে পানিবন্দী মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরের পর বৃষ্টি না হলেও সন্ধ্যা ও রাতে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। জেলার ওপর দিয়ে বয়ে চলা সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ছয়টি পয়েন্টে আজ বৃহস্পতিবারও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বন্যায় সিলেটের ১৩টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে; বিশেষ করে ভারত সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোয় দেশটির সঙ্গে যুক্ত নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে সিলেটের জকিগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ভারত থেকে নেমে আসা ঢলের পানি প্রথমেই আঘাত হানে। সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোর মধ্যে জকিগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর পানি বাঁধ উপচে ও বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গিয়ে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

বিয়ানীবাজারের ঘুঙ্গাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন জানান, কুশিয়ারা নদীর পানি উপচে তাঁদের গ্রামের ৮০ শতাংশ ঘর তলিয়ে গেছে। তৃতীয় দফার এ বন্যা গ্রামের প্রধান সড়কও ডুবিয়ে দিয়েছে।

কয়েক দিন আগেই পরিবারের আট সদস্য নিয়ে বন্যার কারণে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছিলেন সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দীরগাঁও ইউনিয়নের মানাউরা গ্রামের বাসিন্দা এমাদ উদ্দিন। পানি কমে যাওয়ায় বাড়িও ফিরেছিলেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘর মেরামত করার আগেই আবার তৃতীয় দফায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এমন অবস্থায় পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তিনি। এমাদ বলেন, মানাউরা গ্রামের মূল সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। বাসিন্দাদের মূল বাহন এখন নৌকা।

এদিকে ফেঞ্চুগঞ্জের বিয়ালীবাজর এলাকায় বাসিন্দা শোয়েব আহমদ বলেন, ঈদের তৃতীয় দিন তাঁর ঘরে পানি উঠেছিল। এরপর ঘিলাছড়া এলাকায় এক বন্ধুর খালি বাড়িতে আশ্রয় নেন। এবারও ১ জুলাই রাতে পানি বেড়ে যাওয়ায় একই বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।

People are also reading