হোম পিছনে ফিরে যান

Fraud Case | নামী কোম্পানির নামে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা

uttarbangasambad.com 5 দিন আগে
প্রতীকী ছবি

সপ্তর্ষি সরকার, ধূপগুড়ি: সারদা-রোজভ্যালি কাণ্ডের পর ফের এবার প্রতারণার (Fraud Case) নতুন ছক। শতাব্দীপ্রাচীন মার্কিন অর্থলগ্নি সংস্থার নাম ভাঙিয়ে প্রায় ছয় মাস ধরে অনলাইনে (Online Fraud) অবলীলায় চলছিল সাধারণ মানুষের টাকা লুটের কারবার। মঙ্গলবার বিকেলে আচমকাই বেপাত্তা হয়ে যান সংস্থার কর্মকর্তারা। অভিযোগ, সাধারণ মানুষের কয়েক কোটি টাকা নিয়ে পাততাড়ি গুটিয়েছে সংস্থাটি। বুধবার জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) সাইবার ক্রাইম থানায় (Cyber Crime Police Station) সংস্থাটির নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতারিতদের অনেকে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ইতিমধ্যেই।

গত ডিসেম্বরে অনলাইনে ফাঁদ পাততে শুরু করে সংস্থাটি। বিশ্ববিখ্যাত ব্যাংক অফ আমেরিকার শাখা সংস্থা মেরিল লিঞ্চের নাম ও লোগো ব্যবহার করে ওয়েব লিংক এবং মোবাইল অ্যাপ বানিয়ে ফেলে প্রতারকরা। সংস্থায় যুক্ত কারও রেফারেল কোড থাকলেই মিলত অ্যাপ ডাউনলোড করার লিংক। ইউপিআইয়ের মাধ্যমে টাকা লগ্নি করতে হত গ্রাহকদের। গ্রাহকরা ৩০০ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনলাইনে বিনিয়োগ করতে পারতেন। একবার বিনিয়োগ করলে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত দৈনিক নির্দিষ্ট হারে সুদ সহ তা ফেরত দেওয়ার টোপ দেওয়া হত। প্রতারিতরা জানিয়েছেন, ৩০০ টাকা জমা দিলে পরের দু’মাস প্রতিদিন ৬ টাকা করে ফেরত পাওয়া যেত। ৯০০ টাকা জমা দিলে পরবর্তী এক বছর প্রতিদিন ২২ টাকা ৫০ পয়সা হিসেবে মোট ৮২১২ টাকা ফেরত দেওয়ার টোপ দেওয়া হত। রেফারেল সিস্টেম বা চেইন পদ্ধতিতে উপার্জনের প্রলোভন দেখিয়ে সাজানো হয়েছিল স্কিমটি। যাঁর রেফারেল কোডে লগ্নি হত, তিনি ৫ থেকে ১০ শতাংশ কমিশন পেতেন। তাই অনেকে নিজে লগ্নি না করলেও রেফারেল কমিশনের আশায় লগ্নিকারী জোগাড় করেছেন। প্রথমদিকে সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেল থেকে হঠাৎ কাজ করা বন্ধ করে দেয় অনলাইনে লেনদেনের লিংকটি। এরপরই চক্রের পান্ডারা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে বেপাত্তা হয়ে যায়।

রমেশ রায় নামে এক প্রতারিত ব্যক্তির কথায়, ‘জানুয়ারি মাসে পরিচিত একজনের মোবাইলে বিষয়টি দেখে উৎসাহ পাই। প্রথমে সামান্য টাকা রেখে নিয়মিত ফেরত পাওয়ায় পরে মোটা অঙ্কের টাকা লগ্নি করি। কিন্তু এখন সমস্ত টাকাই ডুবে যাওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছি।’ পৃথ্বীশ অধিকারী নামে আরেক লগ্নিকারী বলেন, ‘ওয়েব লিংকটিই গায়েব হয়ে যায়। অকেজো হয়ে যায় অ্যাপটিও।’ এ বিষয়ে অর্থনীতির অধ্যাপক সৌমেন্দ্রনাথ দত্ত বলেন, ‘কম সময়ে বেশি লাভের আকাঙ্ক্ষাই এমন দুষ্টচক্রের কাজ সহজ করে দেয়।’

People are also reading