হোম পিছনে ফিরে যান

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ

banglanews24.com 2024/5/19

মানিকগঞ্জ: নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ এনে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা।  

মঙ্গলবার (০৭ মে) দুপুরে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে সুদেব কুমার সাহা লিখিত বক্তব্যে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন।

সুদেব সাহা লিখিত বক্তব্যে বলেন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মানিকগঞ্জ-৩ আসরেন বর্তমান সংসদ সদস্য জাহিদ মালেক তার আপন ফুপাতো ভাই সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইসরাফিল
হোসেনের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। তার প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করলে দলীয় নেতাকর্মীদের পদ থাকবে না বলেও হুমকি দিচ্ছেন তিনি। প্রতিনিয়ত দলের বিভিন্ন ফোরামকে ডেকে তার ফুফাতো ভাইয়ের পক্ষে কৌশলে প্রভাব বিস্তার করছেন। একজন সংসদ সদস্য হওয়ার পরও একজন প্রার্থীর পক্ষে সরাসরি অবস্থান নেওয়ায় দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের মাঝে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে নির্দলীয় নির্বাচন হলেও দলীয় নেতাকর্মীদের স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে ও দলীয় কর্মীদের মাঝে ভীতির সঞ্চার হচ্ছে।  

তিনি আরও বলেন, সোমবার (৬ মে) সকালের দিকে শুভ্র সেন্টার গড়পাড়ায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ইমাম মোয়াজ্জেম, মাদরাসার শিক্ষক ও প্রিন্সিপালদের নিয়ে সাবেক মন্ত্রী জাহিদ মালেক নির্বাচনকে সামনে রেখে তার ভাইয়ের পক্ষে সভা করেছেন। সেই সভায় তিনি আপত্তিকর ও সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। তাছড়া নির্বাচনের আগে সরকারি প্রকৌশলীকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের আশ্বাস দিচ্ছেন। যা নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন।

বর্তমান জনপ্রতিনিধি ও সাবেক জনপ্রতিনিধিদের ডেকে তার আপন ফুফাতো ভাইয়ের পক্ষে কাজ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন। শুধু তাই নয়, জাহিদ মালেক তার প্রার্থীর পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য জনপ্রতিনিধিদের শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে জনপ্রতিনিধিরা অসহায় বোধ করছেন। যেসব মাদরাসার শিক্ষকরা নির্বাচনের দায়িত্বপালন করবেন, তাদের ইসরাফিল হোসেনের পক্ষে কাজ করতে বলেছেন তিনি। এটিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।  


তিনি আরও বলেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কয়েকটি ইউনিয়নে সাবেক মন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপনের প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করেছি। অথচ তার ভাইয়ের কারণে আমাদের অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। আমি জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সভাপতি ছিলাম। জেলা আওয়ামী লীগের দুই বারের সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার দুই বারের সেক্রেটারি এবং চেম্বার অব কমার্সের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি তিন বার। রাজনৈতিকভাবে কোনো দিক থেকে পিছিয়ে নেই।  

এসময় ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

People are also reading