গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি আবারো বৃদ্ধি
Read Time:3 Minute, 39 Second
এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র, করতোয়া ও ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যহত রয়েছে। এতে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।
আজ সোমবার বিকেল ৩টায় গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় উচ্চতা ৮ সে.মি বৃদ্ধি পেয়ে দুপুর ৩টা পর্যন্ত তিস্তার পানি (কাউনিয়া পয়েন্টে) বিপৎসীমার ৫ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি (ফুলছড়ি পয়েন্টে) ৩৭ সেমি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১০৮ সে.মি, ঘাঘট নদীর পানি (নিউব্রিজ পয়েন্টে) ২৭ সে.মি বৃদ্ধি পেয়ে ১৬৯ সে.মি এবং করতোয়া নদীর পানি (চকরহিমাপুর পয়েন্টে) ১ সেমি বৃদ্ধি পেয়ে ৩৫৯ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০ মিলিমিটার।
জানা গেছে, গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। এই কারণে নদীর তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হচ্ছে। এসব এলাকার বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন ফসলাদি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে এসব এলাকার মানুষের মাঝে।
নদ-নদীগুলোর পানিবৃদ্ধির কারণে গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলে বেশ কিছু জায়গায় প্লাবিত হচ্ছে। সদরের কামারজানি, ঘাগোয়া, ফুলছড়ির ফজলুপুর, এরেন্ডাবাড়ি, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর, তারাপুর, কাপাসিয়া এলাকায় পানি উঠতে শুরু করছে। সেই সঙ্গে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া এলাকায় পানিবৃদ্ধির ফলে কিছু সংখ্যক ঘরবাড়িতে পানি জমেছে। ধীরে ধীরে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
এসব এলাকার পানিবন্দী স্থানীয়রা গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ছেন।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ভারি বৃষ্টিপাত ও উজনের ঢলে গাইবান্ধায় আবারও নদ-নদীর পানিবৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী ৩ জুলাই পর্যন্ত পানি কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ভাঙনরোধে প্রস্তুত রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।