হোম পিছনে ফিরে যান

নৃশংসভাবে রাসেলস ভাইপারকে হত্যা

banglatribune.com 5 দিন আগে

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ঘাস কাটতে গিয়ে প্রায় চার ফুট লম্বা একটি রাসেলস ভাইপার সাপকে মেরে আধমরা করেছেন এক কৃষক। পরে স্থানীয় লোকজন সাপটির গলায় প্লাস্টিকের দড়ি পেঁচিয়ে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে গাছে ঝুলিয়ে রেখে মেরে ফেলেন। এরপর সাপটির পেটে বাচ্চা আছে কি না তা দেখতে পেট ব্লেড দিয়ে কাটেন এক পল্লি পশু চিকিৎসক। পরে সাপটিকে পুড়িয়ে মাটিচাপা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২জুলাই) কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কল্যাণপুর বটতলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। অনেকেই সাপটিকে মারার ভিডিও ধারণ করেন। ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। তবে বিষয়টি অমানবিক ও আইনবিরোধী বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পরিবেশবিদরা।

স্থানীয় উপজেলা বন বিভাগ কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান বলেন, এভাবে একটি বন্যপ্রাণীকে হত্যা করে পেট কাটার ঘটনাটি আইনবিরোধী ও ন্যক্কারজনক।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে কল্যাণপুর এলাকার মোক্তার হোসেনের ছেলে জিয়াউর রহমান নিজ জমিতে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন। এ সময় তিনি জমিতে একটি রাসেলস ভাইপার সাপ দেখতে পান। এরপর সাপটি হাঁসুয়া দিয়ে আঘাত করে আধমরা করেন এবং তার ভাই নাসির উদ্দিনকে ফোন দেন। পরে স্থানীয় লোকজন সাপটিকে বটতলা এলাকায় নিয়ে এসে একটি গাছে দুপুর ২টা পর্যন্ত ঝুলিয়ে রাখা হয়। এরপর সাপটির পেটে আরও বাচ্চা আছে কি না, তা দেখতে পেট কাটেন স্থানীয় পশু চিকিৎসক আবদুর রাজ্জাক। তারপর সাপটিকে পুড়িয়ে মাটিচাপা দেন।

এ বিষয়ে কৃষক জিয়াউর রহমান জানান, তিনি নিজ জমিতে ঘাস কাটার সময় সাপটি তার দিকে তেড়ে আসছিল। এ সময় সাহস করে হাঁসুয়া দিয়ে আঘাত করে আধমরা করেন। এরপর ফোনে লোকজনকে ডাকেন। স্থানীয়রা সাপটিকে গাছে ঝুলিয়ে রেখে মেরেছেন।

পল্লি চিকিৎসক মো. আবদুর রাজ্জাক জানান, সাপটির পেট মোটা ছিল। পেটে বাচ্চা আছে কি না তা দেখার জন্য সবাই তাকে পেট কাটার অনুরোধ করেছিলেন। এভাবে ব্লেড দিয়ে সাপটির পেট কাটা ভুল হয়েছে।

বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সাহাবউদ্দিন বলেন, মানুষের কোনও সচেতনতা নেই। এভাবে আমরা প্রকৃতিকে ধ্বংস করছি। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম জানান, মানুষ আতঙ্কে অনেক কিছু করে ফেলেন। সবাইকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

People are also reading