ফেনীতে একই পরিবারের ৭ জনকে অচেতন করে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট
পুলিশ, এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত সূত্র জানায়, ওই এলাকার দারেগ আলী বাড়ির আবদুল মালেকের পরিবারের সদস্যদের অগোচরে অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে দেয়। শুক্রবার রাতে সবাই খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যায়। গতকাল সকালে ওই পরিবারের সদস্যরা কেউ বের না হওয়ায় প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করে। একপর্যায়ে দরজা খোলা দেখে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়। খবর পেয়ে কোরাইশমুন্সী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নেছার আহমেদ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। অজ্ঞান অবস্থায় গৃহকর্তা আবদুল মালেক (৭০), তার স্ত্রী রুজিনা বেগম (৫০), ছেলে মাহিন (১০), তার আত্মীয় রাহেনা বেগম আমেনা (৪০), নাতনি ইকরা আক্তার (৪), এলিন (১৮), নাতি আরিয়ান (৭) কে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
জামাতা খুরশিদ আলম জানান, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার শশুর আবদুল মালেক, শাশুড়ী রুজিনা বেগম ও নাতনি এলিনের জ্ঞান ফিরেছে। অন্যদের দুপুরে জ্ঞান ফেরায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
কোরাইশমুন্সী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নেছার আহমেদ জানান, প্রাথমিকভাবে ঘর থেকে দুস্কৃতিকারীরা নগদ ২ লাখ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণ নিয়ে গেছে বলে জেনেছি। ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা: আসিফ ইকবাল জানান, খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক খাওয়ার কারনে একই পরিবারের ৭ সদস্য অচেতন হয়ে পড়েছে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সূত্র জানা গেছে এ ধরনের ঘটনা ইতিপূর্বে ফেনীতে একাদিক বার ঘটেছে।