গাজীপুরের শ্রীপুরে নৌকা ভ্রমণ শেষে ফেরার পথে নৌকায় ডাকাতদের হামলা ও মারধরের শিকার হয়েছেন কয়েকজন ব্যবসায়ী। এ সময় তাদের হামলায় পোল্ট্রি ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান (৩০) ক্ষিরু নদীতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হন। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সোমবার (১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বটতলা এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে রোববার (৩০ জুন) আনুমানিক রাত ৮টার দিকে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বটতলা এলাকায় ক্ষিরু নদীতে এ ঘটনা ঘটে। নুরুজ্জামান (৩০) উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাব গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন কাওরাইদ ইউনিয়নের বেলদিয়া গ্রামের তমিজ উদ্দিনের ছেলে মাজাহার (২৮), পশ্চিম সোনাব গ্রামের জামাল উদ্দিন ওরফে মনু মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৭), কাওরাইদ এলাকার ইব্রাহীম (৩৩), মৃত রশিদ ডাক্তারের ছেলে দিপু (৪০), কাওরাইদ (পশ্চিমপাড়া) এলাকার খোকন মিয়ার ছেলে আকরাম হোসেন (২৫), রফিজ উদ্দিনের ছেলে সবুজ (২৮), কাওরাইদ (বটতলা) এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে সাব্বির (২৩) এবং কাওরাইদ (মৃধাপাড়া) এলাকার নাজিম উদ্দিনসহ (২৮) অজ্ঞাত তাদের ৭-৮ জন। স্থানীয়রা জানান তাদের নামে পূর্বে থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। এলাকায় সবাই তাদেরকে ডাকাত হিসেবেই চেনে।
নুরুজ্জামানের ছোট ভাই আব্দুল হামিদ বলেন, রোববার সকাল ৮টার দিকে নৌকা ভ্রমণে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় ভাই। রাতে অনেকে বাড়ি ফিরে আসলেও আমার ভাই না আসায় জানতে পারি তাদের ট্রলারে ডাকাতেরা হামলা করেছে। সারা রাত খোঁজাখুঁজি করেও ভাইয়ের সন্ধান পাইনি। এরপর সকালে ক্ষিরু নদীর বটতলা এলাকায় ভাইয়ের হাঁটু বের হয়ে থাকতে দেখে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করি। খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা জানান, নুরুজ্জামানের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।