সিলেটের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত, নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে
টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে সিলেটের অধিকাংশ উপজেলা। পানিতে ডুবে গেছে সড়কগুলো। সিলেট নগরের অধিকাংশ এলাকায় সুরমার পানি উপচে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। সিলেটের মানুষজন বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়ার পাশাপাশি বাসা-বাড়ি থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে মালামাল নিয়ে যাচ্ছেন।
সুরমা, কুশিয়ারা ও সারি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার (১ জুলাই) সকালে সুরমা এবং বিকালের দিকে কুশিয়ারা ও সারি নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তিন নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে সুরমার পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১০২ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারার পানি ২৮ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৮৮ সেন্টিমিটার ও সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৫৬ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বিকাল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত ৭৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, ‘সোমবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পর্যন্ত ১৫৬ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত ছিল ৩৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার।’
নগরের উপশহর এলাকার বাসিন্দা ডা. নাজমিন বেগম বলেন, ‘সন্তানদেরকে আত্মীয়ের বাসায় রেখে ঘরের মালামাল লোকজন দিয়ে উপরে তুলে রাখছি। উপশহরের সড়ক ডুবে গেছে। যেকোনও সময় বাসায় প্রবেশ করতে পারে পানি। আমাদের কষ্টের শেষ নেই।’
জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুরের ব্যবসায়ী নাসির খান বলেন, ‘উপজেলার অনেক গ্রামে পানি ঢুকেছে। মানুষজন মহাবিপদে রয়েছেন। অনেককে দুপুর থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে দেখা গেছে।’