‘আমি তো ইসরায়েলে আর কোনো ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি না’
৯ মাস ধরে আমি তো এই মুখোশ ধারণ করে চলেছি। ওদিকে যাঁরা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন ও আমাদের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করছেন, সেই সব পুরুষ ক্রমাগত ঘোষণা দিয়ে চলেছেন যে ‘আমরা সবাই মিলে জয়ী হব।’
আমি গাজার শিশুদের নিয়ে লিখছি, আবার সাইরেন বেজে উঠলেই আমার কন্যাদের নিয়ে নিরাপদ কক্ষে চলে যাচ্ছি। আমি তো একটা মর্যাদাবান জীবনাচরণ করছি আর কন্যাদের বলছি যে সবকিছু ঠিক আছে। আর নিজেকে এই বলে প্রবোধ দিচ্ছি, ‘যা করছি, তা তো ‘আমার মেয়েদের জন্য।’
কিন্তু আমি জানি যে এটা মিথ্যা। একজন সাংবাদিক হিসেবে, একজন মা হিসেবে এবং একজন নারী হিসেবে আমি এই যুদ্ধের সময় জীবনধারণ করছি। আমার আত্মা তো মৃত্যুভয়ে ভীত। যে সত্যটা আমি আমার কন্যাদের বলতে চাই অথচ পারছি না, তা হলো আমি তো ইসরায়েলে আর কোনো ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি না। আরও সত্যি হলো আমি ভীত হয়ে পড়েছি আর তোমরা, আমার দুই মেয়ে, আমাকে সক্রিয় রেখেছ। কারণ, আমি একজন মা আর আমার কিছু কর্তব্য আছে।
আমার মনে হয়, শাম ইতিমধ্যে এসব জেনে গেছে। দুই সপ্তাহ আগে আমরা যখন হাঁটতে যাই, তখন ও এসব পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলছিল। আমার চোখ দিয়ে পানি ঝরতে দেখে ও প্রশ্ন করেছিল, ‘কেন তুমি কাঁদছ?’ জবাবে আমি বলেছিলাম, ‘কারণ, তুমি খুব দ্রুত বড় হয়ে গেছ। কারণ, শিশুদের তো তাদের স্বপ্নগুলো কীভাবে ডানা মেলবে, সেটাই চিন্তা করার কথা, যুদ্ধ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কথা নয়।’