হোম পিছনে ফিরে যান

তিস্তা প্রকল্প নিয়ে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে রাজি চিন, বাংলাদেশ থেকে বার্তা চিনা ‘দূতে’র

sangbadpratidin.in 2024/10/5

জুলাই মাসেই চিন সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী হাসিনার।

Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বিশ্বে অর্থনৈতিক দিক থেকে এগিয়ে থাকতে মরিয়া চিন! শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের সঙ্গেও কাজ করতে আগ্রহী কমিউনিস্ট দেশটি। এমনকী তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রকল্প নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে একযোগে কাজ করতে রাজি বেজিং। এমনটাই জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। 

বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সংগঠন ডি ক্যাব আয়োজিত আলোচনায় যোগ দিয়েছিলেন ইয়াও ওয়েন। সেখানে তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, “এ নদী বাংলাদেশের নদী। অতএব তিস্তা প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যেকোনও সিদ্ধান্ত আমরা সম্মান করব। তিস্তা নিয়ে প্রস্তাব দিয়েছিলাম আমরা। আমরা এখনও বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিস্তা নিয়ে যাচাইয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। আমরা সেটা সম্পন্ন করি। যে পক্ষই এ প্রকল্পে কাজ করুক, দ্রুত শেষ হোক সেটা আমরা চাই। সমস্যার দ্রুত সমাধান হোক সেটা আমরা চাই। আর তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রকল্পে ভারতের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে রাজি চিন।” বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের মজবুত বন্ধুত্বের কথা অজানা নয় চিনের কাছে। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহী বেজিং। তাই এই বিষয় নিয়ে ভারত কিংবা বাংলাদেশ কারও সঙ্গে জড়াতে চায় না চিন।

ইয়াও ওয়েন আরও বলেন, “মায়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে তৃতীয়পক্ষের আলোচনা সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে এটিকে আমরা বন্ধ বলতে চাই না। এটাও নিশ্চিত নই যে, কবে প্রত্যাবাসন শুরু হবে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে, গৃহযুদ্ধ থামে এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের দ্বার উন্মুক্ত হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন সফরে এদেশের উন্নয়ন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, কৃষি সহযোগিতা, ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট, ডিজিটাল ইকোনোমি, শিক্ষা, গণমাধ্যমের সঙ্গে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করা হবে। এছাড়াও দুই দেশের জনগণের মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হবে। আবার রোহিঙ্গা সংকটও আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পাবে।” চলতি জুলাই মাসেই চিন সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী হাসিনার।

People are also reading