বিধ্বংসী বোমা পাঠিয়ে ইসরায়েলকে যেভাবে সাহায্য করছে যুক্তরাষ্ট্র
এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
গাজা যুদ্ধের শুরু থেকে অর্থ্যাৎ ৭ অক্টোবর থেকে বিভিন্নভাবে ইসরায়েলকে সাহায্য করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলে বিধ্বংসী বিপুল সংখ্যক বোমাসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র পাঠিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
শনিবার (২৯ জুন) আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলে শুধুমাত্র অত্যন্ত বিধ্বংসী দুই হাজার পাউন্ডের বোমা পাঠিয়েছে ১৪ হাজারেরও বেশি।
দুই মার্কিন কর্মকর্তার উদ্বৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে ১৪ হাজার এমকে-৮৪ দু’হাজার পাউন্ড বোমা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়াও ইসরায়েলে ৫০০ পাউন্ড বোমা ৬ হাজার ৫০০টি, ৩ হাজার হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র, এক হাজার বাংকার বাস্টার বোমা, ২ হাজার ৬০০টি আকাশ থেকে নিক্ষেপযোগ্য ছোট-ব্যাসের বোমা এবং অন্যান্য অস্ত্র পাঠিয়েছে।
তবে এসব চালান কখন হয়েছে এ বিষয়ে কোনও তথ্য জানাননি কর্মকর্তারা। তবে অস্ত্রের মোট সংখ্যা থেকে এটি স্পষ্ট যে, অস্ত্র সরবরাহ সীমিত করার আন্তর্জাতিক আহ্বান এবং সম্প্রতি শক্তিশালী বোমার একটি চালান স্থগিত করার প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও ইসরায়েলের জন্য মার্কিন সামরিক সহায়তা সরবরাহে উল্লেখযোগ্য কোনও বিরতি হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলেছন, সরবরাহকৃত অস্ত্রের এই সংখ্যা গাজা যুদ্ধের শুরু থেকে ইসরায়েলে পাঠানো অস্ত্রের সর্বশেষ ও বিস্তৃত পরিসংখ্যান রয়েছে, যা আগে রিপোর্ট করা হয়নি।
সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অস্ত্র বিশেষজ্ঞ টম কারাকো বলেন, যদিও একটি বড় সংঘাতে এই সংখ্যক অস্ত্র তুলনামূলকভাবে দ্রুতই শেষ হয়ে যেতে পারে, তবে এই তালিকাটি স্পষ্টভাবে ইসরায়েলি মিত্রদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি উল্লেখযোগ্য পর্যায়ের সমর্থনকেই প্রতিফলিত করে।
তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত এ ধরনের অস্ত্রশস্ত্রগুলো হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বা হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সম্ভাব্য যুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে ইসরায়েল।