হোম পিছনে ফিরে যান

আমার কুৎসিত অতীত চমকের সামনে আনতে চাইনি, দুই বিয়ের খবর ফাঁসে বিব্রত আজমান

thebengalitimes.com 2024/10/6
আমার কুৎসিত অতীত চমকের সামনে আনতে চাইনি, দুই বিয়ের খবর ফাঁসে বিব্রত আজমান

গত মাসের শেষ দিকে বিয়ে করেন টিভি নাটকের অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক। ৯ টাকা দেনমোহরে ব্যবসায়ী আজমান নাসিরের সঙ্গে একটি মাদ্রাসায় বিয়ে হয় চমকের। বিয়ের খবর প্রকাশের পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে এই নায়িকা। বিয়ের পরপরই খবর ছড়ায়, চমকের আগে আরও দুটি বিয়ে করেছেন আজমান। এবার একাধিক বিয়ের কথা নিজেই স্বীকার করলেন চমকের স্বামী। এক ভিডিওবার্তায় আজমান জানান, আগের স্ত্রীদের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পরেই চমকের সঙ্গে সম্পর্ক হয় তাঁর।

৩ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের ভিডিওবার্তায় আজমান নাসির বলেন, ‘ডিভোর্সের অনেক পরে চমকের সঙ্গে আমার পরিচয়। চমক আমার অতীত সম্পর্কে জানতেও চায়নি। সে আমাকে ভালোবেসেছে, আমি তাকে ভালোবেসেছি। ইসলামি শরিয়ত মেনেই বিয়ে করি।’

বিয়ে করে অপরাধ করেননি মন্তব্য করে আজমান বলেন, ‘আমার দুইটা ডিভোর্স হওয়ার পরে চমককে বিয়ে করেছি—এটা কি আমার অপরাধ? এখন তো মানুষ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছে। আমি তো এটা করিনি। আমি বিয়ে করেছি। তবুও আপনারা (সংবাদমাধ্যম) যেভাবে নিউজ করেছেন, মনে হয় না আমরা আর বেশি দিন সুখে শান্তিতে থাকতে পারব। আপনারা যেভাবে বলছেন, ৯ দিনও থাকবে না সংসার। আপনারা কি এটাই চান? এটাই কি সমাধান?’

আগের দুই বিয়ের খবর প্রকাশের পর চমকের সামনে দাঁড়াতে পারছেন না বলে জানান আজমান। তিনি বলেন, ‘আমার কুৎসিত অতীত কখনোই চমকের সামনে আনতে চাইনি। সবসময় চেয়েছি আমার অতীত থেকে চমককে দূরে সরিয়ে রাখতে। কিন্তু আপনাদের এমন নিউজের কারণে বারবার তাঁর সামনে আমার অতীত চলে আসছে। আমি তাঁকে মুখ দেখাতে পারছি না। এমন নিউজের পর থেকে চমকের সামনে দাঁড়াতে পারিনি।’

এই বিষয়ে কথা বলার জন্য চমকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁর ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। তবে আজমান নাসিরের ভিডিওবার্তাটি নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করে চমক লিখেছেন, ‘আই অ্যাম সরি, আজমান নাসির’।

জানা গেছে, ২০০৮ সালে সামান্তা ইসলামকে প্রথম বিয়ে করেন আজমান নাসির। ২০১১ সালের নভেম্বরে তাঁদের ঘরে কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। তবে ২০১৬ সালেই সেই সংসার ভেঙে যায়। এরপর ২০১৮ সালে লামিয়া ফারহিনকে বিয়ে করেন আজমান। সেই সংসারও বেশি দিন টেকেনি। অবশেষে গত মাসে টিভি অভিনেত্রী চমককে বিয়ে করেন তিনি।

People are also reading