হোম পিছনে ফিরে যান

ড. ইউনূসের সব উদ্যোগ নিরীক্ষার আহ্বান জানিয়ে মার্কিন দূতাবাসে চিঠি

channelionline.com 2024/10/6

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

বাংলাদেশ সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অপতৎপরতা তুলে ধরে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত বরাবর চিঠি দিয়েছেন কমিটি ফর অ্যা ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশের আহ্বায়ক খালেদ হাসান। একই সঙ্গে তিনি ড. ইউনূসের নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষা জাতিসংঘের মাধ্যমে করার আহ্বান করেছেন।

চিঠিতে তিনি বলেন, ড. ইউনূসের কর্মচারীরা তাদের পাওনা বেআইনিভাবে আটকে রাখার অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। বিচারিক আদালত দেখেন, ড. ইউনূস নিজের ট্যাক্স দিচ্ছেন না। মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হন এবং তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, ড. ইউনূস তার পরিণতির জন্য এখন শেখ হাসিনাকে দায়ী করছেন।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে পাঠানো চিঠিতে তিনি বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের বিরুদ্ধে চলমান নেতিবাচক প্রচারণা ও প্রকৃত তথ্য তুলে ধরেন। এই চিঠি রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বাইডেন, সিনেটর হিলারি ক্লিনটন, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনৈতিক ডেস্কে পাঠানোর অনুরোধও করেন তিনি।

চিঠিতে তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশ বংশোদ্ভুত একজন মার্কিন নাগরিক। আমি আমার রাষ্ট্রপতিকে একটি উন্নয়নশীল দেশের সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার মধ্যে ‘গ্যাংস্টার হিরো’ হিসেবে চিত্রিত দেখতে চাই না। বরং আমি মনে করি, আমাদের রাষ্ট্রপতিকে ভুলভাবে বিশ্বাস করাতে চেষ্টা করা হয়েছিল যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত নৃশংস এবং তিনি এখন দেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী ডক্টর ইউনূসকে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে হয়রানি করছেন। ঘটনা যদিও একেবারেই ভিন্ন।

তিনি চিঠিতে বিস্তারিত উল্লেখ করে বলেন, ড. ইউনূস চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা আইন পরিবর্তন করে তাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে থাকার অনুমতি দিবেন। শেখ হাসিনা তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং তাকে অবিলম্বে অবসর নিতে বলেন, কারণ তার বয়স ৬০ বছর পার হয়ে গেছে।

ড. ইউনুস সেই আইন অমান্য করেন এবং আদালত তার বিরুদ্ধে রায় না দেওয়া পর্যন্ত সেভাবেই চলেন। পরে সেটা তিনি মেনে নেন বটে কিন্তু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা শুরু করেন। প্রথমে তার পরামর্শদাতা সিনেটর হিলারি ক্লিনটনের কাছে এবং পরে যারা যারা শুনতে আগ্রহী হয়েছেন তাদের কাছে।

আমি মনে করি, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ড. ইউনূসের শক্তিশালী আমেরিকান লবি দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন। আমি এও মনে করি, মার্কিন সরকারের উচিত ড. ইউনূসের যত সংস্থা সবগুলোতে জাতিসংঘের অডিট পাঠানো।

শেখ হাসিনাকে ৪৩ বার হত্যাচেষ্টা বিষয়ে মার্কিন ও সিআইএ অবশ্যই অবগত হয়ে থাকবে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা হয়। বিএনপি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান আওয়ামী লীগ নেতা ও সংগঠকদের বিক্ষোভ সমাবেশে সহিংস গ্রেনেড হামলা ঘটিয়েছিলেন। সেখান থেকে শেখ হাসিনা অলৌকিকভাবে রক্ষা পান। দুঃখের বিষয়, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সেসময় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তারা বিএনপি সরকারের পদত্যাগ চায়নি। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসও সেসময় নীরব ছিলেন। তিনি গ্রেনেড হত্যার নিন্দা করেননি বা নিহতের পরিবার বা দলকে সান্ত্বনাও দেননি।

বাংলাদেশের দুর্নীতিও আরেকটি আলোচনার জায়গা। উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি একটি মহামারী। বর্তমান শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের চেয়ে আগের বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকার ছিল ব্যাপক দুর্নীতিবাজ। বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে ট্রানজিটে ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। অথচ শেখ হাসিনা সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি চালু করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন সক্রিয় হয়েছে এবং বেনজীর আহমেদ, সাবেক পুলিশ প্রধান এবং সাবেক সেনাপ্রধানের মামলাগুলো সামনে আসছে।

People are also reading