হোম পিছনে ফিরে যান

রপ্তানি পণ্য এখন আমদানির তালিকায়

prothomalo.com 2024/10/6

রপ্তানি থেকে যেভাবে আমদানি পণ্য হলো

আলু উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম। স্বাধীনতার পর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত ৫২ বছরে বাংলাদেশ কখনো চাহিদা মেটানোর জন্য আলু আমদানি করেনি। কারণ, এ সময়ে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন ছিল বেশি। এ সময়ে মূলত আলু উৎপাদনের জন্য আলুবীজ আমদানি হয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বা এফএও এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্যে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

তবে আলুর দাম বাড়তে থাকায় বাজার স্থিতিশীল রাখতে ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর আলু আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরপর গত বছরের ২ নভেম্বর প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে আলু আমদানি শুরু হয়। হিলি, সোনামসজিদ, বুড়িমারী, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি করা হয়। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বিদায়ী অর্থবছরে ৫ লাখ ৩০ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে ব্যবসায়ীদের। এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী অর্থবছরে প্রায় ৯৮ হাজার টন আলু আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৫৭ লাখ ডলার। প্রতি কেজি আলু আমদানিতে শুল্ককরসহ খরচ পড়ছে প্রায় ৩০ টাকা। খুচরা বাজারে এই আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫৫ টাকা। 

এমন সময়ে আলু আমদানি হচ্ছে যখন উৎপাদন বৃদ্ধির কথা বলছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। সংস্থাটির প্রাথমিক হিসাবে, বিদায়ী অর্থবছরে আলু উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৯ লাখ টন। মাঠপর্যায় থেকে আলু বাজারজাতকরণ পর্যন্ত প্রায় ১৫ শতাংশ অপচয় হয়। সেই হিসাবে আলু পাওয়া যাবে প্রায় ৯৩ লাখ টন, যা চাহিদার প্রায় সমান। যদিও হিমাগার ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিদায়ী অর্থবছরে আলু উৎপাদন হয়েছে কম।

আলুর মতো গাজর, টমেটো ও কাঁচা মরিচও আমদানি হচ্ছে। একসময় গাজর ও টমেটো সামান্য পরিমাণে আমদানি হতো, যখন দেশে মৌসুম থাকত না। এখন ধারাবাহিকভাবে আমদানি বাড়ছে। একই অবস্থা কাঁচা মরিচেও। দেশে দাম বেড়ে গেলে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমদানির পথ খুলে দেওয়া হচ্ছে। এনবিআরের তথ্যে দেখা যায়, বিদায়ী অর্থবছরে তিনটি পণ্য আমদানি হয়েছে প্রায় ৯০ হাজার টন।

People are also reading