হোম পিছনে ফিরে যান

জাত আমদানি, প্রশিক্ষণ, বিদেশ সফরে ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ের পরও ব্রাহমা নিষিদ্ধ

prothomalo.com 2024/10/6

অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও খামারিরা বলছেন, মূলত ‘বিফ ক্যাটেল ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পটির মাধ্যমেই দেশে ব্রাহমা জাতের গরু পরিচিতি পায়। পরে এ ব্যাপারে পিছু হটে অধিদপ্তর।

প্রকল্পে কোন খাতে কী পরিমাণ অর্থ খরচ করা হয়েছিল, তা আইএমইডির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে দেশের ৪৮ জেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছিল।

প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫ কোটি টাকা খরচ করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে উন্নত ব্রাহমা জাতের গরুর ৬০ হাজার সিমেন আমদানি করা হয়। সংকরায়ণের মাধ্যমে উন্নত জাতের গরুর সংখ্যা বাড়াতে ১ কোটি ১৬ লাখ টাকায় কেনা হয় ১৫০টি ষাঁড় বাছুর।

১০ হাজার ৪০০ জন খামারি এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ের ৩৯০ জন মাঠ কর্মকর্তাকে ব্রাহমা জাতের গরু পালন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ ছাড়া আটজন কর্মকর্তাকে বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ দুই খাতে ৮৯ লাখ টাকা খরচ হয়।

সাভারের কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের ল্যাবরেটরিতে কৃত্রিম প্রজননের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কিনতে খরচ হয় ৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। গরুর খাদ্য বাবদ খরচ দেড় কোটি। ওষুধ, টিকা ও ফিড এডিটিভস বাবদ খরচ এক কোটি টাকা।

সাভারের এই খামারে সিমেন প্রক্রিয়াকরণ করে বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহের জন্য একটি জিপ, একটি ট্রাক, দুটি মোটরসাইকেল ও ঘাস চাষের কাজে ব্যবহারের জন্য দুটি ট্রাক্টর কিনতে ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা খরচ করা হয়।

কেনা গরু ও প্রজননের মাধ্যমে পাওয়া গরু রাখার জন্য সাভারের খামারে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে খরচ হয় ৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

আর প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ খরচ হয় ১ কোটি ১৪ লাখ টাকার বেশি।

People are also reading