হোম পিছনে ফিরে যান

হবিগঞ্জে রাসেলস ভাইপার সন্দেহে ২৯ বাচ্চাসহ সাপ মারল জনতা

risingbd.com 5 দিন আগে
হবিগঞ্জে রাসেলস ভাইপার সন্দেহে ২৯ বাচ্চাসহ সাপ মারল জনতা

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার শরীফপুরে রাসেলস ভাইপার সন্দেহে ২৯টি বাচ্চাসহ একটি সাপ পিটিয়ে মেরেছে জনতা। সাপটি পিটিয়ে মারার সময় পেটের ভেতর থেকে একে একে বেরিয়ে আসে জীবিত ২৯টি বাচ্চা। সেগুলোকেও মেরে ফেলা হয়। আর এতে পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে সাপ আতঙ্ক। 

Google news

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে এটি প্রকাশ পেলেও ঘটনাটি ঘটে বুধবার (২৬ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ সদর উপজেলার শরীফপুর গ্রামের সোহেল মিয়ার দোকানের সামনের ড্রেন থেকে একটি সাপ ওপরে চলে আসে। বিষয়টি আঁচ করতে পারেন গ্রামের কয়েকজন যুবক। এ সময় গ্রামে রাসেলস ভাইপার সাপ ঢুকেছে বলে মুহূর্তের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

যুবকরা বলতে থাকেন, সাপ সাধারণত ডিম পাড়ে, কিন্তু এ সাপের পেট থেকে একের পর এক বাচ্চা বের হতে দেখা যায়। একপর্যায়ে সাপটিকে পিঠিয়ে মেরে ফেলা হয়। এ সময় জড়ো হতে থাকে উৎসুক জনতা। 

শরীফপুর গ্রামের এমরান আহমেদ বলেন, এ রকম সাপ আমি আগে কোনো দিন দেখিনি। সাপটি দেখে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। যে কারণে যুবকরা মিলে সাপটি পিটিয়ে মারে। সাপটি মারার সময় সেটির পেটের ভেতর থেকে ২৯টি বাচ্চা বের হয়। এর আগে সাপের ডিম দেখেছি, ডিম থেকে বাচ্চা ফোটে তা-ও দেখেছি। এই প্রথম সাপের পেট থেকে বাচ্চা বের হতে দেখলাম। আর রাসেলস ভাইপার সাপই তো বাচ্চা দেয়। ধারণা করা হচ্ছে, এটিই রাসেলস ভাইপার। এখন আমরা রাসেলস ভাইপার সাপ আতঙ্কে রয়েছি।

হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুভাষ চন্দ্র দেব জানান, এটি রাসেলস ভাইপার নয়। সম্ভবত দাড়াইশ সাপ। এটি বিষাক্ত নয় এবং এটি পরিবেশের জন্য উপকারী। কারণ এই সাপ অন্য সাপ খেয়ে ফেলে।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ হবিগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী বলেন, হবিগঞ্জে রাসেলস ভাইপার রয়েছে এমন তথ্য নেই। আর কোনো বন্য প্রাণীই পিটিয়ে মারা যাবে না। সাপটির উল্টোদিকের ছবি না তুলে পেটের ছবি তোলার মাধ্যমে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য এমনটি করা হয়েছে।

People are also reading