রাশিয়ার যুদ্ধে সমর্থনের জন্য চীনকে মূল্য দিতে হবে: ন্যাটো প্রধান
এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধে রাশিয়াকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত চীন যদি পরিবর্তন না করে তাহলে তার পরিণতি চীনকে ভোগ করতে হবে।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
ওয়াশিংটন সফরের জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, চীন রাশিয়াকে যুদ্ধে সমর্থনও করছে আবার ইউরোপীয় মিত্রদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখারও চেষ্টা করছে। তবে চীন কখনোই দুই পক্ষের সাথে একত্রে নিজের সম্পর্ক বজায় রাখতে পারবে না। এসময় তিনি পারমাণবিক অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা ব্যয় নিয়েও কথা বলেছেন।
সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত একটি শান্তি শীর্ষ সম্মেলনে অনেক দেশ কিয়েভকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু রাশিয়া এটিকে সময়ের অপচয় উল্লেখ করে বলে, ইউক্রেন মূলত আত্মসমর্পণ করলেই তারা শান্তি আলোচনায় সম্মত হবে।
রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থন সম্পর্কে ন্যাটো সদস্যরা কী করতে পারে সেই বিষয়ে স্টলটেনবার্গ বলেন, চীনের উপর একটি সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করছে। চীন বর্তমানে অনেক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে যেমন, মাইক্রো-ইলেক্ট্রনিক্স রাশিয়ার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির চাবিকাঠি হবে।
পশ্চিমা অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার সীমান্তের ভেতরে ইউক্রেনকে হামলা চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায়, ইউক্রেনের সীমান্তে ট্যাক্টিক্যাল যা যুদ্ধে প্রয়োগযোগ্য বা সীমিত ধ্বংসক্ষমতার পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া চালাচ্ছে রাশিয়া। এর আগে রোববার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফকে স্টলটেনবার্গ বলেছিলেন, চীন ও রাশিয়ার বর্ধিত হুমকি মোকাবিলায় ন্যাটোও মোতায়েনযোগ্য পারমাণবিক ওয়ারহেড নিয়ে ভাবতে পারে।
ওয়াশিংটনে এসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ওই মন্তব্যের বিষয়েও খোলাসা করেছেন ন্যাটো মহাসচিব। তিনি বলেন, আমার সরল বার্তাটি ছিল, ন্যাটো একটি পারমাণবিক জোট। তাই যেকোনো ন্যাটো সদস্যের ওপর আক্রমণ হলে পুরো জোটের পক্ষ থেকে পাল্টা-আঘাত করা হবে। ন্যাটোর উদ্দেশ্য যুদ্ধ লড়া নয়, বরং যুদ্ধ ঠেকানোই মূল উদ্দেশ্য।