হোম পিছনে ফিরে যান

সেটিংস পরিবর্তন করলেও বাঁচবে ইন্টারনেট খরচ!

thedhakatimes.com 5 দিন আগে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ছে দিনকে দিন। একই গতিতে স্মার্টফোনে ডেটা ব্যবহারকারীদের খরচও বাড়ছে, যা অনেকের ক্ষেত্রেই বাড়তি চাপের কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। তবে সেটিংস পরিবর্তন করলেও বাঁচবে ইন্টারনেট খরচ!

সেটিংস পরিবর্তন করলেও বাঁচবে ইন্টারনেট খরচ! 1

কাজ শেষ হওয়ার পূর্বেই ডেটা শেষ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা এড়িয়ে চলতে পরিবর্তন করা প্রয়োজন কিছু সেটিংস। এতে করে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ডেটা অনেক কম ব্যবহার হবে। বাঁচবে ইন্টারনেট খরচও।

অ্যান্ড্রয়েড ফোনের এই ফিচারের নাম হলো ‘ডেটা সেভার মোড’। এটি মূলত ডেটা ব্যবহারে মিতব্যয়ী হতে শেখায়। স্মার্টফোন ওয়াইফাই-এর সঙ্গে সংযুক্ত না থাকলেই ব্যাকগ্রাউন্ডে অ্যাপগুলোর ডেটা ব্যবহার সীমিত করে।

বলা হয়েছে যে, মূলত ডেটা সেভার চালু থাকলেই, ব্যাকগ্রাউন্ডে চলমান অ্যাপগুলো ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযোগ করতে এটি সক্ষম হবে না। এই সময় অ্যাপগুলোও আপডেট হবে না। এতে পুশ নোটিফিকেশন পাঠাতে পারবে না। আর তখন হবে না ডেটার ব্যবহার। এছাড়াও ফোনে পর্যাপ্ত ব্যাটারি ব্যাকআপেও কাজ করে দারুণ। কারণ হলো-অ্যাপগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে কম আপডেট হওয়ায়, সেগুলো মূলত কম শক্তি ব্যবহার করে।

জানা গেছে, এই মোডটি চালু করলে যে অ্যাপটি খুব সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটি কম ইন্টারনেট ব্যবহার করবে। যেমন— কিছু অ্যাপের ছবি ততোক্ষণ পর্যন্ত লোড হবে না, যদি না তাদের ওপর এটি ক্লিক করা হয়।

কিভাবে ডেটা সেভার মোড চালু করবেন

প্রথমেই অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সেটিংস ওপেন করুন। তারপর নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটে ক্লিক করুন। এরপর ডেটা সেভার অপশনে চলে যান। তারপর ইউজ ডেটা সেভার অপশনে ক্লিক করে এটি চালু করতে হবে। যদি কেও এটি বন্ধ করতেই চান, তাহলে বাঁ দিকে থাকা ডেটা সেভার অপশনটি ব্যবহার করতে হবে আপনাকে।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

People are also reading