হোম পিছনে ফিরে যান

সম্পদের হিসাব দিতে চাননা সরকারি কর্মকর্তারা

boishakhionline.com 2 দিন আগে

প্রকাশিত: ০৫-০৭-২০২৪ ১৪:১৩

আপডেট: ০৫-০৭-২০২৪ ১৪:১৩

মুক্তা মাহমুদ : কিছু সরকারি কর্তকর্তার বিপুল বিত্তবৈভবের খবর জনসম্মুখে প্রকাশের পর তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের বিষয়টি আলোচনায় আসে। যা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী পাঁচ বছর পরপর কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে এই বিধিমালার কার্যকরিতা নেই। এখন তা সংশোধন করে সম্পদের হিসাব দেয়ার বিধানই বাতিল করার তোড়জোর চলছে। 

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানসহ কিছু সাবেক আমলার বিপুল সম্পদের তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশের পর দেশজুড়ে আলোচনা সমালোচনা চলছে। সরকারি কর্মকর্তাদের বিপুল সম্পদ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন উঠে। 

১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মচারি আচরণ বিধিতে (১৩ ধারার ১ উপধারায়) বলা হয়েছে, চাকরির শুরুতেই সরকারি কর্মচারী ও তার আত্মীয়দের স্থাবর অস্থার সম্পদের বিবরণ জমা দিতে হবে। পরবর্তীতে প্রতি ৫ বছর পরপর তাদের সস্পদের হিসাব সরকারের কাছে দাখিল করতে হবে। 

কর্মকর্তারা সম্পদের হিসাব দেন কিনা এ নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হলে কোন মন্ত্রণালয়ই তথ্য দিতে রাজি হয়নি। এমনকি এ নিয়ে কথাও বলতে চান না কোন সরকারি কর্মকর্তা। 

এদিকে এই বিধিমালা সংশোধনের পর্যায়ে আছে। যে সংশোধনী আনা হচ্ছে তাতে যেসব কর্মচারী নিয়মিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে আয়কর রিটার্ন জমা দেন, তাদের আলাদাভাবে সম্পদের হিসাব জমা দিতে হবে না। তবে বিষয়টি নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং সচিবের বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হলেও তারা সাড়া দেননি। 

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন সংশোধনীটি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে, শিগগিরই গেজেট আকারে প্রকাশ হতে পারে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন জানান আইনি কাঠামোর মধ্যে থেকেও যারা দুর্নীতি করছে তারা দুষ্ট চিন্তার।  তবে সরকার দুর্নীতিবাজদের জন্য সহানুভূতিশীল নয় বলেও জানান তিনি।  

People are also reading