নয় জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা
ঢাকা: অতিভারী বৃষ্টিপাতে দেশের নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নয়টি জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি আরো বিস্তৃত হয়ে অবনতির শঙ্কা রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদ-নদীগুলোর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী তিনদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
কুশিয়ারা ব্যতীত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য প্রধান নদীগুলোর পানির সমতল সার্বিকভাবে হ্রাস পাচ্ছে, অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, দেশের উত্তরাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে আগামী দু'দিন ঘণ্টায় ভারী থেকে অতিভারী এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
এতে কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ জেলার ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যার পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে এবং টাঙ্গাইল জেলার কতিপয় পয়েন্টে পানির সমতল বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
এছাড়া উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
তবে দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও ঘাঘট নদীসমূহের পানির সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। এর ফলে তিস্তা ও দুধকুমার নদীগুলোর পানির সমতল কতিপয় পয়েন্টে স্বল্পমেয়াদে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে এবং ধরলা ও ঘাঘট নদী সংলগ্ন কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চল বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা অবনতি হতে পারে।
আগামী দু'দিনে দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের যমুনাশ্বরী, করতোয়া, বাঙ্গালী, আপার করতোয়া, পুর্নভবা, টাঙ্গন, ইছামতি-যমুনা, আত্রাই, মহানন্দা এবং ছোট যমুনা নদীসমূহের পানির সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
পাউবো জানিয়েছে, বর্তমানে ধরলার পানি কুড়িগ্রামে; ঘাঘটের পানি গাইবান্ধায়; ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া, হাতিয়া ও চিলমারি; যমুনার পানি ফুলছড়ি, বাহাদুরাবাদ, সাঘাটা, সারিয়াকান্দি ও সিরাজগঞ্জ; সুরমার পানি কানাইঘাট ও সিলেটে; কুশিয়ারার পানি অমলশিদ, শেরপুর-সিলেট, মারকুলি ও শেওলায়; মনুর পানি মৌলভীবাজারে, পুরাতন সরমার পানি দিরাইতে এবং কলমাকান্দায় সোমেশ্বরীর পারি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সংশ্লিষ্ট নয় জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
পাউবো জানিয়েছে, তাদের পর্যবেক্ষণাধীন ১১০টি স্টেশনের মধ্যে পানির সমতল বেড়েছে ৬৪টিতে, কমেছে ৪৩টিতে। তিনটিতে পানির সমতল অপরিবর্তিত আছে ও ১৯টিতে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২৪
ইইউডি/জেএইচ