হোম পিছনে ফিরে যান

Girl Molestation | দিনদুপুরে বাসে নাবালিকাকে বেহুঁশ করে যৌন নিগ্রহ!

uttarbangasambad.com 3 দিন আগে

অভিরূপ দে, ময়নাগুড়ি: দিনের বেলা বাসের মধ্যে নাবালিকাকে মাদক মেশানো খাবার খাইয়ে পরবর্তীতে তাকে যৌন নিগ্রহের (Girl Molestation) চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে ময়নাগুড়িতে (Maynaguri)। বৃহস্পতিবার সকালে হাসিমারার (Hasimara) একটি নির্জন জায়গা থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিকেলে নাবালিকার মা ময়নাগুড়ি থানায় (Maynaguri Police) লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ ওই নাবালিকা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। পুলিশ নাবালিকার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ময়নাগুড়ি হাসপাতালে পাঠিয়েছে। নাবালিকার বক্তব্য, অনেক কিছুই মনে করতে পারছি না। যেটুকু মনে পড়েছে বাড়ির লোককে জানিয়েছি। ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবল দাস বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই নাবালিকার দেওয়া বয়ান খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷’

ওই নাবালিকার বাড়ি ময়নাগুড়ি শহর থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে। বছর তেরোর ওই নাবালিকার মা শিলিগুড়িতে (Siliguri) রান্নার কাজ করেন। নাবালিকার মায়ের অভিযোগ অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার নাবালিকা শিলিগুড়িতে মায়ের কাছে গিয়েছিল। বুধবার সকাল পৌনে দশটা নাগাদ নাবালিকার মা তাকে ময়নাগুড়ি ভায়া আলিপুরদুয়ারগামী একটি বাসে তুলে দেন। ময়নাগুড়ি ইন্দিরা মোড় আসার পর বাসে থাকা কয়েকজন সবার অলক্ষে ওই নাবালিকাকে মাদক মেশানো খাবার খাওয়ায় বলে অভিযোগ। এরপর নাবালিকা অচৈতন্য হয়ে পড়ে। এদিন সকালে হাসিমারা এলাকায় এক নির্জন স্থানে নাবালিকার জ্ঞান ফেরে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়িগামী বাসে তুলে দেন। নাবালিকা পাহাড়পুর হয়ে ময়নাগুড়ি বাজারে নেমে এক টোটোচালকের ফোন থেকে তার বাবাকে ফোন করে। এরপর নাবালিকার পরিবারের লোকেরা ময়নাগুড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। ঘটনার পর ওই নাবালিকাকে ময়নাগুড়ি নতুন বাজার এলাকায় আতঙ্কিত অবস্থায় কাঁদতে দেখে ময়নাগুড়ি পুরসভার এক কাউন্সিলার নাবালিকার পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন। পরবর্তীতে ওই কাউন্সিলারের সহযোগিতায় নাবালিকার মা ময়নাগুড়ি থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।

নাবালিকার মায়ের অভিযোগ, তার মেয়েকে কয়েকজন মিলে ভ্রাম্যমাণ অবস্থায় অজ্ঞান করে যৌন নিগ্রহ করেছে। ঘটনার পর থেকে মেয়ে ভীত ও সন্ত্রস্ত অবস্থায় রয়েছে।

নাবালিকার বাবা এই ঘটনার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। নাবালিকার বাবার বক্তব্য, ‘আমার মেয়েকে যারা অজ্ঞান করে শারীরিক নিগ্রহ করেছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করুক পুলিশ।’

এদিকে এই ঘটনার পর বেশ কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ওই নাবালিকা সংবাদমাধ্যমের সামনে একেক সময় একেক রকম বয়ান দেওয়ায় বিষয়টি নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে। প্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীবাহী বাসে এক নাবালিকাকে দুষ্কৃতীরা অজ্ঞান করলেও বাসের কর্মী কিংবা অন্য যাত্রীদের বিষয়টি কীভাবে নজর এড়িয়ে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এছাড়াও নাবালিকাকে যদি অচৈতন্য অবস্থায় বাস থেকে নামানো হয় সেই বিষয়টিও কীভাবে সবার নজর এড়িয়ে গেল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

People are also reading