হোম পিছনে ফিরে যান

বামপন্থিদের উত্থান, ঝুলন্ত পার্লামেন্ট পাচ্ছে ফ্রান্স

banglatribune.com 2024/10/6

ফ্রান্সের নির্বাচনে বামপন্থিদের জোট কট্টর ডানপন্থিদের পিছনে ফেলে বেশিরভাগ আসনে জয়ী হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থি জোট দ্বিতীয় অবস্থানে এবং উগ্র ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র‍্যালি তৃতীয় স্থানে রয়েছে। রবিবার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার ভোট শেষে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি  এ খবর জানিয়েছে।

ডানপন্থি দলটি নির্বাচনে জয়ের আশা করলেও তারা তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে। অন্যদিকে, বামপন্থিদের জোট বেশিরভাগ আসনে জিতলেও কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ হারাতে যাচ্ছেন বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। মেরিন লে পেনের উগ্র ডানপন্থি দল সংসদে আগের তুলনায় অনেক বেশি আসনে জয়ী হলেও প্রত্যাশার চেয়ে কম।

ফ্রান্সের এই নির্বাচনের ফলাফল ইউক্রেনের যুদ্ধ, বৈশ্বিক কূটনীতি এবং ইউরোপের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলবে।

ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এবং ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নেতৃত্ব নিয়ে আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক দর কষাকষি চলতে পারে। ম্যাক্রোঁ হয়ত এমন এক প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কাজ করতে হতে পারে, যিনি তার বেশিরভাগ অভ্যন্তরীণ নীতির বিরোধী হতে পারেন।

এই পূর্বাভাস সঠিক হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি বড় রকমের অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে।

ন্যাশনাল র‍্যালি (আরএন) নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডে এগিয়ে ছিল। এরপর থেকে সব জনমত জরিপ দলটির বিজয়ের পূর্বাভাস দিয়েছিল। তবে ফ্রান্স এখন একটি ঝুলন্ত পার্লামেন্টের মুখোমুখি যেখানে কোনও দলের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই।

আরএন নেতা জর্ডান বারডেলা তাদের ক্ষমতায় যাওয়া ঠেকানোর জন্য ‘অপ্রাকৃতিক রাজনৈতিক জোটকে’ দায়ী করেছেন। তিনি মন্তব্য করেন, আমরা ক্ষমতার জন্য ক্ষমতা চাই না।

মাত্র সাত মাস আগে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ কর্তৃক নিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল জানিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন। যদিও তার জোট পূর্বাভাসের চেয়ে তিনগুণ বেশি আসনে জিততে চলেছে।

গত ৩০ জুন প্রথম দফার ভোটে আরএন ও সমমনা দলগুলো ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। বামপন্থি নিউ পপুলার ফ্রন্ট ২৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল এবং প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর নেতৃত্বে মধ্যপন্থি এনসেম্বল ব্লক প্রায় ২০ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে ছিল।

যেসব প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের ৫০ শতাংশের বেশি পেয়েছেন, তাদের দ্বিতীয় দফায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়নি। লে পেনের জোট থেকে ৩৯ জন, বাম জোট থেকে ৩২ জন, ম্যাক্রোঁর জোট থেকে দুই জন, রক্ষণশীল এলআর থেকে একজন এবং অন্যান্য ডান দল থেকে দুই জন রয়েছেন।

বাকি ৫০১টি আসনের ভাগ্য নির্ধারিত হবে দুই থেকে চারজন প্রার্থীর মধ্যে। ফরাসি পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৮৯টি আসন। যে দলের কাছে ২৮৯টি আসন থাকবে, তারাই সরকার গঠন করবে।

দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটের পর ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এবং ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নেতৃত্ব কে নেবেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।

People are also reading