গাইবান্ধায় বন্যাতে ৭৭ হাজার পরিবার পানিবন্দী
গাইবান্ধায় প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করলেও, তা বিপৎসীমার ওপর দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে। এতে অপরিবর্তিত রয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। জেলা সদর, সুন্দরগঞ্জে, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার চর ও নিম্নাঞ্চলে প্রায় ৭৭ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
চরম দুর্ভোগে পরেছে বন্যার্ত মানুষ। রাস্তাঘাট, স্কুল ও বাজারগুলোতে পানি উঠায় চরম বিপাকে বন্যা কবলিত মানুষ। এলাকা বিশুদ্ধ পানির সঙ্কটও দেখা দিয়েছে।
বন্যায় চার উপজেলার চর ও নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পুকুর ও বিলের মাছ ভেসে গেছে। চরের অনেক বাড়ি-ঘর ও রাস্তায় পানি উঠে নষ্ট হয়ে গেছে। ২ হাজার ৪৪৫ হেক্টর জমির আউশ ধান, পাট, ভুট্টা, বীজতলা ও শাকসবজি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। বন্যা এলাকায় ৭০ টি বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গাইবান্ধার পানি উন্নয়নবোর্ড জানায়, ফুলছড়ি পয়েন্টে যমুনাও ব্রহ্মপুত্রের পানি ৯ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমায় ৭৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং ঘাঘট নদীর নিউব্রীজ পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে তিস্তা নদীর পানি নতুন করে কাউনিয়া পয়েন্টে ২৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেলেও এখনও বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।