হোম পিছনে ফিরে যান

‘বোলারদের কেউ বাঁচান প্লিজ’

rtvonline.com 2024/5/11
আইপিএল ২০২৪

চলমান আইপিএলে রান উৎসব শুরু করেছে দলগুলো। ব্যাটিংয়ে নামলেই শুরু হচ্ছে ব্যাটাদের চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি। এখনও পর্যন্ত মোট ৪৩টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ২৪টি ২০০ প্লাস স্কোর হয়েছে। যা অন্য যে কোনো আইপিএলের চেয়ে অনেক বেশি। এছাড়াও একের পর এক রেকর্ড ভেঙে বিশাল বিশাল স্কোর গড়ছে ফ্রাঞ্চাইজিগুলো। ২৮৭ রান পর্যন্ত উঠে গেছে।

এবারের আইপিএলে ২৫০ প্লাস রান করেও নিরাপদ বোধ করতে পারছেন না কোনো দল। যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ দেখা গেলো শুক্রবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে। ২৬১ রান করেও তারা নিরাপদ থাকতে পারেনি। ৮ বল এবং ৮ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাঞ্জাব কিংস।

পুরো ম্যাচে ৪২টি ছক্কার মার মেরেছেন ব্যাটাররা। ২৪টি ছক্কার মার মেরেছে পাঞ্জাব কিংস। মোট ৩৬টি বাউন্ডারির মার মেরেছেন দুই দলের ব্যাটাররা। ৫২৩ রানের এই ম্যাচটি কলকাতার গরম চাপিয়ে আরও বেশি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিলো।

চলতি মৌসুমে বোলাররা ওভারপ্রতি গড়ে ৯.৪৯ রান করে দিয়েছেন। এতে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও বিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি মনে করেন, ফ্ল্যাট উইকেট এবং ইমপ্যাক্ট–সাবের নিয়মের কারণেই বোলারদের এমন দিন দেখতে হচ্ছে।

সৌরভ বলেছেন, বোলারদের জন্য মোটেও সহজ নয়। তারা সবকিছুতেই ভুগছে এবং ব্যাট ও বলের (লড়াইয়ে) ভারসাম্য আনতে ভবিষ্যতে এই জায়গাটা নিয়ে কাজ করতে হবে।

এদিকে এমন পরিস্থিতি আগে থেকেই মানতে পারছিলেন না ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। কিছুদিন আগেই এক মন্তব্যে তিনি বলেছিলেন, আইপিএল আসলে কোনো ক্রিকেটই নয়।

এবার পাঞ্জাব ও কলকাতার ম্যাচ দেখতে দেখতে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের কাছ থেকে আফসোস ঝরে পড়লো। তিনি হতাশাভরেই এক্স (সাবেক টুইটার) একাউন্টে লিখলেন, কেউ একজন বোলারদের রক্ষা করুন, প্লিজ।

কয়েকদিন আগেই চেন্নাই সুপার কিংস ২১০ রান করেও জিততে পারেনি। লখনৌ সুপার জায়ান্টস ৩ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটের ব্যবধানে জয় তুলে নেয়। ওই ম্যাচের পরও বোলারদের দোষারোপ না করে চেন্নাই কোচ পরাজয়ের কারণ হিসেবে উইকেটের কথাই তুলে ধরেছেন।

অথ্যাৎ, আইপিএলের উইকেটগুলোতে বোলারদের জন্য কিছুই নেই। প্রতিটি উইকেটই যেন বোলারদের বধ্যভূমি। বোলাররা আসছেন, নিয়মতান্ত্রিনভাবে বল করছেন আর বেদম পিটুনি খাচ্ছেন এটাই এখন প্রতিটি বোলারের নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেটা প্যাট কামিন্স হোক, মোস্তাফিজুর রহমান হোক কিংবা জাসপ্রিত বুমরাহ অথবা অন্য যে কোনো বোলার হোক না কেন, মার খেতেই হবে।

জস বাটলার ম্যাচটি দেখতে দেখতে লিখলেন, ‘দিস ইস আউটরেজাস (খুবই আপত্তিকর)।’

People are also reading