হোম পিছনে ফিরে যান

বশেফমুবিপ্রবিতে ই-গভর্ন্যান্স ও ইনোভেশন শোকেসিং অনুষ্ঠিত

dainikshiksha.com 2024/5/20

দৈনিক শিক্ষাডটকম, বশেফমুবিপ্রবি: বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেফমুবিপ্রবি) ই-গভর্ন্যান্স ও ইনোভেশন বিষয়ে কর্মশালা এবং ইনোভেশন শোকেসিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার উপাচার্য দপ্তরের সভাকক্ষে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) অন্তর্গত ই-গভর্ন্যান্স ও ইনোভেশন কমিটির উদ্যোগে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকালে আয়োজিত 'স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ভূমিকা' শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান বক্তৃতা করেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান বলেন, ২০৪১ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য বাস্তবায়নে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ন কবিরের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ফারুক হোসেন। কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে ইউজিসির আইএমসিটি বিভাগের উপ-পরিচালক ও ইনোভেশন কমিটির ফোকাল পয়েন্ট দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র দাস ই-গভর্ন্যান্স ও ইনোভেশন বিষয়ে আলোচনা করেন। এতে বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, দপ্তর প্রধানগণসহ শিক্ষক ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। 

এদিকে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বিকেলে ‘ইনভোশেন শোকেসিং’ এর আয়োজন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবিত নানা প্রকল্প প্রদর্শন করা হয়। প্রদর্শনীতে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে উদ্ভাবিত ১০টি প্রকল্প প্রদর্শন করা হয়। এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান একটি প্রকল্প প্রদর্শন করেন। এছাড়া গবেষণা সেলের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মাহমুদুল হাছান ও সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) রুনা আক্তার জ্যোতি একটি করে প্রকল্প প্রদর্শন করেন। 

‘ইনোভেশন শোকেসিং’ এ প্রথম হয়েছে 'ফ্ল্যাম গার্ড ডিফেন্ডিং অ্যাগেইনস্ট গ্যাস সিলিন্ডার এক্সপ্লোজন’ শীর্ষক প্রকল্পটি। এই প্রকল্পের দলের দলনেতা ছিলেন ইইই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী রাবেয়া খান। অন্য সদস্যরা হলেন—বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র আমানুল্লাহ ও তৃতীয় বর্ষের ছাত্র নাদিরা ফারজানা। দ্বিতীয় হয়েছে ‘অ্যাটমোস্পিয়ারিক ওয়াটার জেনারেটর (এডব্লিউজি) শীর্ষক প্রকল্প। এই প্রকল্পে দলের নেতৃত্ব দেন ভূতত্ত্ব বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র শাহরিয়ার হক সাদ। দলের অন্যরা হলেন—একই বিভাগের মো. জুনাইদ জাহাঙ্গীর ও আমানউল্লাহ আমান। আর তৃতীয় হয়েছে ইইই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের প্রকল্প ‘সোলার পাওয়ারড ইউপিএস ইনভার্টার টেকনোলজি’। এই দলের নেতৃত্ব দেন তানভীর আহমেদ। অন্য সদস্যরা হলেন- ফারিহা রহমান, আনোয়ার হোসাইন ও আলমগীর হোসেন। 

প্রদর্শনী শেষে বিজয়ীদের হাতে প্রাইজমানি ও সনদ তুলে দেন উপাচার্য ও অতিথিরা। অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় ছিলেন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব সহকারী প্রোগ্রামার মো. রেজাউল করিম।

People are also reading